নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৫০ বছরে উৎপাদন বাড়তে বাড়তে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিক পচনশীল নয়। তাই তা খুব ছোট ছোট টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেই টুকরোগুলোই খাবারের সঙ্গে চলে যায় মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর পেটে।
পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও সারা বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই প্লাস্টিক প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে, বছরে, দশ বছরে খাবারের সঙ্গে কী হারে পেটে যায় তা কি সবাই জানি?
২০১৯ সালে ওয়ার্ল ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) এর এক সমীক্ষায় উঠে আসে প্লাস্টিক সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য। মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী কী পরিমাণ প্লাস্টিক খায় সে হিসাব সত্যিই আতঙ্ক জাগানোর মতো।
তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সমীক্ষায় শুধু মাইক্রো প্লাস্টিকের হিসেব উঠে এসেছে, তার চেয়েও ছোট, অর্থাৎ ন্যানোপ্লাস্টিক হিসেবে এলে চিত্রটা নাকি অনেক ভয়াবহ হবে।
ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্যাকেটজাত খাবার, প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের চামচ, কাপ ইত্যাদি থেকে প্রতিদিন গড়ে পেটে যায় ০.৭ গ্রাম প্লাস্টিক। এক সপ্তাহে আমরা সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম ওজনের একটা বোতামের সমপরিমাণ প্লাস্টিক খেয়ে থাকি।
সমীক্ষা বলছে, প্রতি ১০ দিনে সাত গ্রামের মতো প্লাস্টিক আমাদের পেটে যেতে পারে। একটা প্রমাণ সাইজের প্লাস্টিকের কার্ডের ওজনও কিন্তু সাত গ্রামের মতো! দেখা গেছে, কোনও দিন একটু কম আর কোনও দিন একটু বেশি করে খেলেও একমাসে গড়ে ৪×২ সাইজের একটা ইটের সমান প্লাস্টিক প্রাণীর পাকস্থলীতে যায়।
প্লাস্টিকজাত সব পণ্য বর্জন না করলে প্রতি ৬ মাসে অন্তত ১২৫ গ্রাম প্লাস্টিক পেটে গিয়ে শরীরকে নানা রোগের বাসা বানাতে পারে। সতর্ক না হলে প্রতি বছরে আমাদের পেটে যেতে পারে ২৪৮ গ্রাম প্লাস্টিক। পরিবেশ সচেতন হয়ে প্লাস্টিক পুরোপুরি বর্জন না করলে সময় যত যাবে প্লাস্টিক খাওয়ার পরিমাণও বাড়তে থাকবে। সেক্ষেত্রে ১০ বছরে পেটে যাবে ২.৫ কিলোগ্রাম প্লাস্টিক। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
সান নিউজ/এসএ