নিজস্ব প্রতিবেদক : সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী। মেঘলা আবহাওয়ায় এমন বৃষ্টি শীতের প্রাক্কালে অনেকটাই বেমানান। যাত্রীরা নামছেন ঝুম ঝুম বৃষ্টির মধ্যে। দৌড়ে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন খোলা কয়েকটি চায়ের দোকানে। ততোক্ষণে কারোরই কম-বেশি ভিজতে বাকি নেই। এর মাঝেও কে কোথায় যাবেন, সে আলাপ সেরে নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেছেন।
‘মনে হচ্ছে এই বৃষ্টি শীত নামাবে’- সায় দিলেন অনেকে। তখনও গুমোট অন্ধকার আকাশ আর অবিরাম বৃষ্টি। সামনের রাস্তা দিয়ে পানি ছিটিয়ে চলে যাচ্ছে বাস-ট্রাক। আজ ব্যতিক্রম, বৃষ্টির শীতল পরশে ঘুমে ঢলে আছে শহর ও শহরবাসী। বৃষ্টিতে আদিভৌতিক হয়ে আছে পুরো পরিবেশ।
অবিশ্রান্ত ধারার বর্ষণে মৃদু গরম ও গুমোট ভাবটি একেবারেই উবে গেছে। শীতল হাওয়ামাখা ভোর জানান দিচ্ছে, শীত আসতে আর দেরি নেই। বৃষ্টির হাত ধরেই শীতের স্পর্শ যে গ্রাম-গঞ্জ-নগরে এসে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সামনের দিনগুলোতে হাড়কাঁপানো শীত আসার আগে আগে হালকা ঠাণ্ডাও জানান দিতে থাকবে প্রকৃতি ও পরিবেশে।
ভর দুপুরেও আলো জ্বালাতে হয়েছে রাজধানীর বাসাবাড়ি ও দোকানপাটগুলোতে। একজন দু’জন ছাতা মাথায় হেঁটে চলেছেন জরুরি কাজে। বৃষ্টির তোড় থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন দোকানের বারান্দায়।
তবে জনসমাগম কম বলে অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। যে কয়েকটি খুলেছে, সেগুলোতে দিনের বেলায়ও কাজ-কর্ম চলছে বাতি জ্বালিয়ে। সমস্ত আকাশ কালো হয়ে এসেছে এলোমেলো ভাসমান ঘন মেঘে। চলছে বৃষ্টি-বাতাসও।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এমনিতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ঘণ্টায় ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে উত্তর থেকে পশ্চিম-উত্তর দিকে বাতাস প্রবাহিত হবে। মেঘলা আকাশের কারণে কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।
সান নিউজ/পিডিকে/এস