আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশে বন্যা, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। তাদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত ৫৮
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার (১১ মে) দিনব্যাপী ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা হয় পশ্চিম সুমাত্রার কমপক্ষে ৩টি জেলায়। এতে সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।
প্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির ৩ জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল ও ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে আঘাত হানবে ‘রেমাল’
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বিএনপিবি জানায়, দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বন্যা ও লাভা নিঃসরণের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পুরনো বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি অধিকাংশের।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে বিএনপিবি জানিয়েছে, ঘরবাড়ি হারানোদের আবাসনের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। তাদেরকে সরকার জমি দেবে ও সেই জমিতে ঘরও তৈরি করে দেবে। এতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ আগামী ৬ মাস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৫২৩৩
উল্লেখ্য, শীতল লাভাকে ইন্দোনেশিয়ায় বলা হয় লহর। এটি ঘন কাদার মতো মিশ্রন, যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ ও পানি। সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো, এ লাভায় উত্তাপ কম থাকে।
দেশটির মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।
সান নিউজ/এনজে