নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের পর সারা দেশে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলছে। এ অবস্থায় গত ২/৩ দিনে তাপমাত্রা কমে গেছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তম
উত্তাপের দাপট প্রশমিত হওয়ায় এক শ্বাসরুদ্ধকর গরম থেকে মানুষ কিছুটা প্রশান্তি বোধ করছে। খুলে দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ।
তবে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রাণহানিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গতকাল সারা দেশে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ৮ বিভাগের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে কালবৈশাখীর আঘাত
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাতসহ বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় বাড়বে। এতে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে। ফলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪ টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা বা ঝোড়ো বাতাসসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
আজ থেকে পরবর্তী ৭ দিন সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে দেশের পশ্চিমাংশে বৃষ্টি কিছুটা কম থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে প্রাণ গেল ২ শিশুর
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাত ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে। আগামী ৩ দিন এ অবস্থা থাকবে এবং ১৪ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বাড়বে।
গতকাল থেকে সিলেট বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জেলা, মেঘালয় রাজ্য ও পূর্ব আসামের ৩ জেলায় তীব্র বজ্রপাতসহ ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সান নিউজ/এনজে