বিনোদন ডেস্ক: জানা-অজানা গল্প দিয়ে সাজানো প্রতিটি ইতিহাসের পাতা আর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে রয়ে যায়। ইতিহাসের পাতায় বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান একজন অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি।
আরও পড়ুন: বিপাকে পুনম পাণ্ডে
এই কিংবদন্তি গত ১১ বছর আগে (২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যু বরণ করেন। চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশনে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। তাকে বলা হতো অভিনয় কারিগর।
১৯৫২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তাঁর বাবার নাম এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। ইউনাইটেড ইসলামিয়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। মাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণের পর চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন। নব্বইয়ের দশকে হুমায়ুন ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট হ্যাক দীঘির
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে তিনি সেলিম আল দীন সহচার্যে আসেন। সেলিম আল দ্বীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’ নাটকে অভিনয় করেন। এটি ছিল তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক। এরপর, একে একে অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’-এর মত দর্শকপ্রিয় নাটকে।
‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’-সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘মেহেরজান’। ২০১১ সালে নির্মিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন জয়া বচ্চনের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: প্রাক্তনের প্রতি টান দীপিকার
সংশপ্তক নাটকে তাঁর চরিত্র খুবই প্রশংসা পায়। কানকাটা রমজান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে ছিলেন। কীর্ত্তনখোলা, মুন্তাসির ফ্যান্টাসি, কিরামত মঙ্গল (১৯৯০), ধূর্ত উই ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চায়ন। ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করে।
সান নিউজ/ এএন