বিনোদন প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম থিয়েটার সংগঠন মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়। বছর শেষে মঞ্চে আনছে নতুন নাটক ‘সুরেন্দ্র কুমারী’। নাট্যকার আনন জামানের রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে।
মহাকালের ৪৪তম প্রযোজনা ‘সুরেন্দ্র কুমারী’ নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়শিল্পীরা হলেন, আবু আজাদ, শুভ্র মানিক, ইকবাল চৌধুরী, পলি বিশ্বাস, শিবলী সরকার, কানিজ ফাতেমা লিসা, চৈতী সাথী, রাজীব দেবনাথ, কাজী তারিফ, স্বপ্নীল, রাকিব হাসান, উইলিয়াম নিক্সন ভিকী, আব্দুল কাইছুম, নীলমনি বাবু, কামরুজ্জামান সবুজ, শংকর কুমার ধর ও মীর জাহিদ হাসান । নাটকের আলো ও প্রপস-পলাশ হেনড্রি সেন, কোরিওগ্রাফি-ওয়ার্দা রিহাব, পোশাক- এনাম তারা সাকি, সংগীত- নির্ঝর চৌধুরী, পোস্টার- চারু পিন্টু, মঞ্চ- শামীম সাগর ও পলাশ হেনড্রি সেন এবং মুখবিন্যাস-শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পান্ডুলিপি গবেষণায়- শরীফ নাসরুল্লাহ, নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা- মীর জাহিদ হাসান।
নাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘সুরেন্দ্র কুমারী’ নাটকে ৩০০ বছর আগের অত্যাচারী জমিদারদের বয়ান থাকলেও এটাকে আমরা নিয়ে এসেছি সমকালীন ক্ষমতালিপ্সু শাসকদের প্রেক্ষাপটে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যে যুদ্ধ এবং নির্বিচারে শিশু ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে তারই প্রতিফলন দেখা যাবে এই নাটকে। জমিদারকন্যা সুরেন্দ্র কুমারী যখন মায়ের গর্ভে থাকে, সেখান থেকে নাটকের সূত্রপাত। ‘রাজমাতার ধারণা ছিল, তার গর্ভের সন্তান হবে ছেলে; কিন্তু জন্মের পর দেখা যায় সে মেয়ে। রাজমাতা তাকে ছেলের মতো করে বড় করে তোলে। ঘটনাক্রমে এই মেয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। তখনই জানা যায় তার বাবার হত্যাকারীর নাম। ষড়যন্ত্র করে রাজমাতাই সুরেন্দ্র কুমারীর বাবাকে হত্যা করে। এভাবে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।’
নির্দেশক শামীম সাগর বলেন, ‘সুরেন্দ্র কুমারী’ প্রযোজনাটির নির্দেশক হিসেবে আমাকে যুক্ত করেছেন নাট্যকার আনন জামান এবং মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রধান মীর জাহিদ হাসান। জ্যেষ্ঠ অভিনেতাদের সঙ্গে এ প্রযোজনায় অভিনেতা হিসেবে একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল নাট্যকর্মী যুক্ত হয়েছেন, যাদের নিবিষ্ট পরিশ্রমী অংশগ্রহণে স্বল্প সময়ে প্রযোজনাটি নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।’
সান নিউজ/এইচএন