বিনোদন ডেস্ক: ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বছর শেষে নাটকে ফিরেই চমকে দিলেন। ভিন্নধর্মী এক গল্পে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন মেহজাবীন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে শুটিং করবেন হিমি
মেহজাবীন কর্মজীবী মায়ের গল্পে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যেই আড়াই মিলিয়ন ভিউ পার করেছে নাটকটি এবং জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শুরুর দিকেই। কমেন্ট বক্স ভরে গেছে অসংখ্য মন্তব্যে।
অনেক নারীর জীবনের সাথে মিলে গেছে নাটকটির গল্প। নাটকটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মা হওয়াটাও একটা জব, কারণ একজন মাকে ২৪ ঘণ্টাই ডিউটি করতে হয়।
মেহজাবীন জানান, ‘সত্যি কথা বলতে নাটক কম করছি। এটা সবাই জানেন। ‘অনন্যা’ নাটকটি প্রচার হওয়ার পর প্রচুর সাড়া পাচ্ছি, বিশেষ করে মেয়েরা বেশি পছন্দ করেছেন। তাদের মতামত বেশি পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শাহরুখকে টপকালো প্রভাস
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে অনন্যা চরিত্র একটা যুদ্ধ। অনন্যার সংগ্রাম এবং সাফল্যটা একটা বিজয়, অনন্যা ফ্রিডমের গল্প। একজন মেয়ে কারো ওপর নির্ভর হতে চায় না।'
‘অনন্যা’ নাটকে ছোট্ট একটি শিশু অভিনেত্রী সন্তানের চরিত্রে অভিনয় করেছে। তার সম্পর্কে মেহজাবীন জানান, ‘নাটকের একটি দৃশ্য ছিল, আমি অফিসে যাব এবং সাথে সাথে বাবু আমার শাড়ির আঁচল টেনে ধরবে। এটা নিয়ে সবাই টেনশনে ছিলাম। কিভাবে এটা সম্ভব? কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এক টেকেই দৃশ্যটা চূড়ান্ত হয়ে যায়।
মেহজাবীন বলেন, ‘বাচ্চাটার জন্য মায়া তো কাজ করছেই। ইউনিটের সবাই ওর মায়ায় জড়িয়ে গেছে, আমিও। সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল, বাচ্চাটার দৃশ্যগুলো আগে আগে করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া যায়, এটা নিয়ে সবাই ভাবতেন।’
আরও পড়ুন: আবারও আসছে সিসিমপুর
অভিনেত্রী জানান, ‘মা হওয়াটাও একটা জব। কেননা তার ডিউটি ৬-৮ ঘণ্টা নয়, পুরো ২৪ ঘণ্টা। একজন মাকে ২৪ ঘণ্টাই ডিউটি করতে হয় সন্তানের জন্য। চরিত্রটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক অফিসে ডে-কেয়ার থাকা উচিত। তাহলে মেয়েদের জন্য ভালো হয়। একজন মেয়ে কত কষ্ট করে সন্তানকে লালন-পালন করছেন, সংসার সামলাচ্ছেন আবার চাকরিও করছেন। মনে হয় কত সহজ। আসলে মোটেও সহজ না। আমি মনে করি, সুযোগ দিলে মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো করবেন।
সান নিউজ/এএন/এএ