বিনোদন ডেস্ক
ঐতিহ্যবাহী বাংলা সিনেমা এখন হুমকির মুখে, কারণ সিনেমা হল বন্ধ হতে হতে দেশে প্রায় এখন এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র সত্তরটি। করোনা পরিস্থিতির পর হয়তো এর সংখ্যা অর্ধশতের নীচে নেমে আসবে । এই অবস্থায় চলচ্চচিত্র শিল্পকে বাঁচাতে উদ্যোগি হয়েছেন সরকার।
বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে সরকার স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যা দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভ কামনা জানিয়ে সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা।
সরকারের এই ঋণ সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়েন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার সিনেমাবান্ধব সেটা আমরা আগেও বলেছি। সরকার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাংলা সিনেমার জন্য একটি সুসংবাদ। আশা করি সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।'
তবে হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এই অর্থ বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে দিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক হল মালিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন, এরকম অনেকেই আমাদের বলছেন যে, ঋণ না দিয়ে সরকার যদি এই বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দিতেন, তাহলে বেশি উপকৃত হতেন। ৪ শতাংশ সুদ দেয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’
অধিকাংশ নির্মাতারা হলগুলো সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সিনেমা নির্মাণেও সারকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন। কারণ হলে সংস্কার হলে সেখানে মান সম্মত সিনেমাও প্রয়োজন। তাই সিনেমা নির্মাণেও একটি অর্থ বরাদ্দ চান নির্মাতারা।
প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতেই মূলত সরকারের এই বিশেষ ঋণ সুবিধা । এটিকেও আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছি।'