বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমায় ধুমকেতূর মত আগমন ঘটেছিল তার। ক্যারিয়ারের অল্প সময়েই তিনি পেয়েছিলেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তিনি আর কেউ নন, সবার প্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের আজকের এইদিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান নব্বই দশকের সবচেয়ে সুদর্শন এই তারকা। আজ তার ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে তাকে হারানোর ২৪ বছর হয়ে গেল।
পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও লাখো ভক্তের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন তিনি। শুধু ভক্তই নয়, অনেক তারকারও তারকা সালমান শাহ; একথা অকপটেই স্বীকার করেন এই প্রজন্মের নায়কেরা।
চলচ্চিত্রের মানুষেরা আজও বলেন, ‘মৃত্যুর ২৪ বছর হয়ে গেলেও আজও সালমান শাহের শূন্যস্থান কেউ পূরণ করতে পারেননি, কমেনি তার জনপ্রিয়তাও; বরং বেড়েই চলেছে।’
১৯৭০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। যার আসল নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। চলচ্চিত্রে এসে নাম নেন ‘সালমান শাহ’। তার বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। তিনি ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম সামিরা।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেন, দর্শকের মনে ঠাঁঁই করে নেন এই নায়ক। এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিতে থাকেন। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ২৭টির মত ছবি যার বেশিরভাগই ব্যবসাসফল।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিরবিদায় নেন তিনি। হারিয়েও যেন হারাননি তিনি। কোটি ভক্তের হৃদয়ে সোনালী অক্ষরে আজও লেখা আছে তার নাম। যেদিন সালমান শাহের মৃত্যু হয় সেই দিন তার মৃত্যুতে সারাদেশে শোক নেমে এসেছিল। শোক সইতে না পেরে অনেক ভক্ত আত্মাহুতির পথও বেছে নিয়েছিলেন। দর্শকরা আজও তাকে ভুলতে পারেননি। আজও সালমান যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত সেখানে তার ভক্তরা নীরবে চোখের জল ফেলেন। আজও টেলিভিশনের পর্দায় তার অভিনীত ছবি প্রদর্শন হলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শকরা।
তার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ছবি করা নায়িকা শাবনূর আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘সালমান বেঁচে থাকলে আমরা দুজনে উত্তম-সুচিত্রার মতো হতে পারতাম।’