বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি ছেলের প্রথম জন্মদিন মহা ধুমধাম উদযাপন করেছেন। তবে তার আগে ছেলের নাম পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছেলের জন্মদিনে খরচ ১৫ লাখ!
অভিনেত্রী ছেলের নামের শেষে ‘রাজ্য’র পরিবর্তে জুড়ে দিয়েছেন ‘পদ্ম’। তাই এখন হয়েছে ‘শাহীম মুহাম্মদ পদ্ম’।
পরীমণি আরও জানান, ছেলের আরেকটি নাম রয়েছে ‘পুণ্য’।
এবার ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও এই অভিনেত্রীর ছেলের নাম পরিবর্তনের আলোচনায় যোগ দিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রিয়তমা’ দেখে আনন্দিত পূজা
শনিবার (১২ আগস্ট) লেখিকা নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে জানান, পরীর জায়গায় আমি হলে ‘রাজ্য’ নয়, ছেলের ডাকনাম রাখতাম ‘পরমানন্দ’।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ঠিক এক বছর আগে লিখেছিলাম, স্বামীর নামের সাথে মিলিয়ে বাচ্চার নাম রাখাটা বিশেষ পছন্দ হয়নি। স্বামীরা আজ আছে, কাল নেই। সন্তান তো চিরদিনের।
তসলিমা নাসরিন জানান, পরী তার নামের সাথে মিলিয়ে সুন্দর একটি বাংলা নাম রাখতে পারতেন। পরীর জায়গায় আমি হলে ‘রাজ্য’ নয়, ডাকনাম রাখতাম ‘পরমানন্দ’। ভালো নাম ‘শাহীম মুহাম্মদ’ নয়, রাখতাম ‘পরমানন্দ প্রাণ’।
আরও পড়ুন: সিনেমা দেখতে ভারতে জাপানি দম্পতি
আজ শুনি, পরীমণি তার নিজের নামের অক্ষর দিয়ে ছেলের নাম রেখেছেন, পদ্ম অথবা পূণ্য। দুটো নামই সুন্দর।
লেখিকার মতে, ফুলের নামে ছেলে-মেয়ে ২ জনের হওয়া উচিত। ছেলেদের অবশ্য অনেক নামই ফুলের নাম দিয়ে রাখে। যেমন- কমল, উৎপল, পঙ্কজ, কুমুদ, অম্বুজ, নলিনী, কামিনী, বকুল, সরোজ, নীরজ, কিংশুক, পলাশ, ইত্যাদি। তবে পূণ্য নামটি আমার বিশেষ পছন্দের।
তসলিমা নাসরিন আরও লিখেছেন, পরী নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী, স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে বিশাল আয়োজন করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছেন। এই আয়োজনে কি রাজ্যের পিতার উপস্থিতি জরুরি ছিল না?
আরও পড়ুন: কাজটি করে মজা পাচ্ছি
তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, তার সন্তানকে একা লালন-পালনই নয়, সন্তানের জন্য আনন্দ-উৎসবের বিশাল আয়োজনও করতে পারেন।
তার মতে, মেরুদণ্ড দৃঢ় হলে, আত্মবিশ্বাসী হলে স্বামীকে দরকার হয় না।
সারা বিশ্বে কত মেয়েই যে অত্যাচারী স্বামীর অশান্তির সংসার করছে, তাদের একা বাঁচার সাহস করে দিতে হবে। জীবন একটাই। এই জীবনকে নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত হতে দেওয়া কোনো বুদ্ধি মানের কাজ নয়।
আরও পড়ুন: আগের নোবেলে ফিরতে চাই
স্ট্যাটাসে লেখিকা আরও জানান, পরীমণিকে তার সততা, স্বতঃস্ফূর্ততা, সৎসাহসের জন্য অভিনন্দন। এ বিষয় জরুরি কিছু কথা বলা দরকার তাই বলছি, সন্তান জীবনের সব নয়। সন্তানকে ঘিরেই জীবনের সপ্ন দেখা উচিত নয়।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজ চায় সন্তান পালনই মেয়েদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্ম হোক। অভিনেত্রী সন্তান নিয়ে যতই মেতে থাকেন, পুরুষেরা ততই তাকে বাহবা দেয়। ‘ভালো মা’ উপাধি দেয়।
আরও পড়ুন: বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন!
তবে সন্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে হয় না। ভালো গাইড করলেই সন্তান ভালো মানুষ হয়।
লেখিকা বলেন, আমি তাকে বাহবা দেবো। অভিনয়ের কাজটিতে আরও মনোযোগী হন। অভিনয়ের চর্চা আরও করেন, অভিনয়ে আরও পারদর্শী হন, আরও বড় শিল্পী হয়ে ওঠেন।
তবে জেনে রাখবেন মাতৃত্বেই মেয়েদের জীবনের সার্থকতা নয়, কাজ শিল্পীর অন্যত্র। ‘ভালো মা’ এর চেয়ে তার বড় পরিচয় হোক ‘ভালো শিল্পী’।
‘ভালো মা’ যে কোনো মেয়েই হতে পারে, কিন্তু ‘ভালো শিল্পী’ যে কোনো মেয়েই হতে পারে না।
সান নিউজ/এমএ/এনজে