বিনোদন ডেস্ক: স্টার জলসায় প্রচারিত ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ধারাবাহিকে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন। ভারতীয় টেলিভিশনের বাঙালি অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। বাংলাদেশজুড়েও রয়েছে ভক্তবৃন্দ।
আরও পড়ুন: আগের নোবেলে ফিরতে চাই
২০১৯ সালে অভিনেতা সৌরভের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর মধুমিতা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অসংখ্যবার আলোচনায় উঠে এসেছেন। ‘মিষ্টি’ মেয়ের খোলস ছাড়িয়ে বোল্ড অবতারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।
নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন সাহসী পোশাকে তোলা ছবি। তিনি এসব বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ট্রল এবং কটাক্ষের শিকার হন। এবার এ বিষয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: ছেলের জন্মদিনে খরচ ১৫ লাখ!
ট্রলিং আমাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে জানিয়ে মধুমিতা সরকার বলেন, এজন্য আমি ট্রল নিয়ে ভাবি না। একটা মানুষের ১০টা রিলেশনশিপ ভাঙতে পারে অথচ একটা বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন। তখন তাকে নিয়ে অনেকরকম প্রশ্ন ওঠে। এটা তো অনেক বছর ধরে আমার সঙ্গে ঘটছে।
আমি শাড়ি পরে ছবি তুললে লোক দেখানো আর সাহসী পোশাকে ছবি তুললে হয়ে যাই নিলর্জ্জ। বাবা-ছেলে-গাধার গল্পটা এই ক্ষেত্রে আমি স্মরণ করে নিই।
আসলে লোকের কথা শুনে নিজের লাইফস্টাইল বদলাতে হলে বাঁচা যাবে না। আমি সত্যি কেয়ার করি না। আমার পরিচিত সার্কেলে লোকজন আমাকে সম্মান দিলেই চলবে।
আরও পড়ুন: কাজটি করে মজা পাচ্ছি
মধুমিতা সরকার আরও বলেন, বিয়েটা ভেঙেছে মানে মেয়েটারই দোষ। বিয়ে ভাঙার পর যদি মেয়েটা আরো বেশি স্ট্রং আর ইন্ডিপেনডেন্ট হয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই! লোকে ভাবে নিশ্চয় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
এসব ভেবে বাঁচলে তো আমি ডিপ্রেশনে চলে যাব। আর আমি ডিপ্রেশনে গেলে কেউ আমার বাড়িতে এসে ভাত দিয়ে যাবে না। বরং আমাকেই খেটে খেতে হবে।
বিয়েবিচ্ছেদের পর অনেকের সঙ্গে মধুমিতার নাম জড়িয়েছে। এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি এখন পুরোপুরি সিঙ্গেল। গত চার বছর ধরে আমার আগে-পিছে তো কিছু নেই। যদি আমি প্রেমে পড়তাম তাহলে খুশি হয়ে সেটা প্রকাশ করতাম।
আরও পড়ুন: সিনেমা দেখতে ভারতে জাপানি দম্পতি
লোকজন অনেক সময়ই প্রেমের কথা লুকিয়ে রাখে, আমি সেটায় বিশ্বাসী নই। যদি সত্যি আমার কাউকে পছন্দ হয়, কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তাহলে অবশ্যই ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাব।
সান নিউজ/এইচএন