বিনোদন ডেস্ক: হলিউডের সুদর্শন ও জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ। কোটি কোটি ভক্ত অপেক্ষায় থাকেন নতুন নতুন চরিত্রে তাকে দেখবেন বলে। তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মিশন ইম্পজিবল সিরিজের মাধ্যমে। এই সিরিজ দিয়ে কয়েক প্রজন্ম মুগ্ধ করে রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভালো অভিজ্ঞতার অপেক্ষায় আছি
সম্প্রতি ‘মিশন : ইম্পসিবল- ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ ট্রেলার প্রকাশের পরও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন তুলতে বাকি নেই। এমনকি টম ক্রুজ অভিনীত নতুন এ সিরিজটি আগের সব সিরিজের রেকর্ড ভাঙার অপেক্ষায় আছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী,‘মিশন : ইম্পসিবল সিরিজের ‘ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ সিরিজটি আগের সবগুলো আয়ের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। ২০১৮ সালে ‘মিশন : ইম্পসিবল ফলআউট’ সপ্তাহান্তে আয় করে ছয় কোটি ১২ লাখ ডলার। এর পরেই আছে ২০০০ সালের ‘মিশন : ইম্পসিবল টু’, পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: সুমাইয়া হিমি এখন গ্র্যাজুয়েট
জানা যায় ‘মিশন : ইম্পসিবল’-এর প্রাণপুরুষ টম ক্রুজ নতুন ছবির মধ্য দিয়ে আরও একবার পর্দায় এজেন্ট ইথান হান্টের ভূমিকায় থাকছেন। ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি পরিচালিত এই সিনেমায় আরও আছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রাহমেস, সাইমন পেগ, রেবেকা ফারগুসন প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক মুক্তির দুই দিন পর ১৪ জুলাই বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। ফ্রাঞ্চাইজির সপ্তম এই কিস্তিকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছবি। ট্রেলার প্রকাশের পর এর হাইপ রীতিমতো তুঙ্গে।
ফ্রাঞ্চাইজির আগের ছবিগুলোর মতো এই ছবিতেও ধুন্ধুমার অ্যাকশন দৃশ্য এবং টম ক্রুজের অবিশ্বাস্য সব স্টান্ট রয়েছে। ৬০ বছর বয়সী অভিনেতা টম ক্রুজ প্রায় সমস্ত স্টান্ট ডামির সাহায্য ছাড়া নিজেই করেছেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত সিনেমাটির শুটিংয়ের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে, যা ছবির প্রতি ভক্তদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৯ সালে সিনেমাটির শুটিং প্রথম শুরু হয়। এরপর করোনার ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে শুটিং।
এছাড়া ২০২০ সালে এই সিনেমার একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়, যেখানে টম ক্রুজ ও সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত কোনো এক কর্মীর বাগবিতণ্ডা প্রকাশ্যে চলে আসে। এবারের গল্পটি দুই অংশে সাজানো হয়েছে। এবার মুক্তি পাচ্ছে প্রথম অংশ। বাকি গল্প ‘মিশন : ইম্পসিবল- ডেড রেকনিং পার্ট টু’ নামে মুক্তি পাবে ২০২৪ সালে।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার খবরে মুখ খুললেন পূর্ণিমা
প্রসঙ্গত, টম ক্রুজ একজন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছিলেন এবং তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেছেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে এন্ডলেস লাভ (১৯৮১) চলচ্চিত্র দিয়ে। ট্যাপ্স (১৯৮১) ও দ্য আউটসাইডার্স (১৯৮৩) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পরে ক্রুজ তার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র রিস্কি বিজনেস-এ। ক্রুজ পুরোপুরি তারকা হয়ে ওঠেন অ্যাকশন-নাট্যধর্মী টপ গান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর। এরপর তিনি আশির দশকের কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র দ্য কালার অফ মানি (১৯৮৬), ককটেল (১৯৮৮), রেইন ম্যান (১৯৮৮) ও বর্ন অন দ্য ফোর্থ অফ জুলাই (১৯৮৯) এ অভিনয় করেন।
নব্বইয়ের দশকেও তিনি কয়েকটি হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে ও আ ফিউ গুড ম্যান, ১৯৯৩ সালে দ্য ফার্ম, ১৯৯৪ সালে ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার, ১৯৯৬ সালে কমেডি-নাট্যধর্মী জেরি ম্যাগুইর, এবং ১৯৯৯ সালে আইজ ওয়াইড শাট ও ম্যাগ্নোলিয়া। এছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি মিশন: ইম্পসিবল চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের পাঁচটি পর্বে ইথান হান্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সান নিউজ/এনকে