বিনোদন ডেস্ক : গত ৩১ মে ‘মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল-২০২৩’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা।
আরও পড়ুন : অভাগীর স্বর্গে মিথিলা
এ বছর মিস ‘পাকিস্তান গ্লোবাল’ জিতেছেন ওয়ার্দা মুনিব রাও, ‘মিস ট্রান্স পাকিস্তান’ জিতেছেন আলিনা খান, ‘মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড’ জিতেছেন শাফিনা শাহ (যুক্তরাজ্য), ‘মিস পাকিস্তান ইউনিভার্স’ জিতেছেন বিনিশ জর্জ এবং ‘মিসেস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড’ মুকুট জিতেছেন ফাতিমা ফাখার।
পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, গত ৩১ মে পাকিস্তানের লাহোরে বিলাসবহুল গ্র্যান্ড পাম হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী ছিলেন কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা।
আরও পড়ুন : শাকিবের লুকে মুগ্ধ অপু
মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল কপোতাক্ষী চিকিৎসা পেশা থেকে বিনোদন জগতে এসেছেন। তিনি পাকিস্তান প্রবাসী মনির আহাম্মেদের মেয়ে। মনির আহাম্মেদের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের পৌর শহরের মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়পাড়ায়।
শুরুতে ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন কপোতাক্ষী। বাবার সাপোর্ট অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন : চলচ্চিত্রে অনুদান পেলেন যারা
কপোতাক্ষী জানান, ২০২২ সালের মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল ড. শাফাক আক্তার তার অনুপ্রেরণা।
বিখ্যাত আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন কপোতাক্ষী। বর্তমানে করাচির লিয়াকত ন্যাশনাল হাসপাতালে কাজ করছেন তিনি।
কপোতাক্ষীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুসলিম পরিবারে। মায়ের অকাল মৃত্যুর পর বাবার আদরেই বড় হয়েছেন তিনি। মা যখন শয্যাশায়ী তখন বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বিনোদন শিল্পে সুনামের সাথে থাকার পাশাপাশি একজন দক্ষ নিউরো সার্জন হওয়া।
আরও পড়ুন : কাজল আগরওয়াল’র জন্মদিন
কপোতাক্ষীর বাবা মনির আহাম্মেদ পেশায় সাংবাদিক। তিনি করাচির দ্য ডেইলি নিউজের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন বিবিসিতে।
এছাড়া ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত ডয়চে ভেলের সাংবাদিক ছিলেন মনির আহাম্মেদ। বর্তমানে তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
মনির আহাম্মেদ ১৯৭০ সালে পড়াশোনার জন্য পাকিস্তানের করাচি যান। পরে সেখানেই থেকে যান তিনি।
সান নিউজ/এনজে