বিনোদন প্রতিবেদক : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার ও নির্মাতা শহীদুল হক খান আর নেই (ইন্নালিল্লাহে....রাজেউন)। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি।
আরও পড়ুন : মাওয়াতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ নিহত ৬
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
শহীদুল হক খানের ছেলে সাইফুল হক খান সৌরভ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৌরভ জানান, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এরপর জানাজা শেষে বনানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৭৩ সালে সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ছুটির ফাঁদে’ নির্মাণ করেন তিনি। বাংলাদেশে প্রথম ভারতীয় নায়িকা ঝুমুর গাঙ্গুলি অভিনীত এই চলচ্চিত্রে গীতিকার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তার।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে পদদলিত হয়ে নিহত ৮৫
‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর হতে ডেকে ডেকে যায়...’ এমন কথায় গান লিখে ১৯৯০ সালে সেরা গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিংবদন্তি শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, মান্না দেসহ অনেকেই।
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি প্রথম নির্মাতা হিসেবে ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ‘কোথায় সেজন’ দিয়ে প্যাকেজ নাটক নির্মাণ শুরু করেন।
এরপর অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তার হাত ধরেই মিডিয়াতে আগমন ঘটে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপির। তার নির্মিত ‘নায়ক’ নাটকে পপির সঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি শেষ করেছেন ‘একজন ভাষা সৈনিকের গল্প’ ও ‘আমার পিরানের কোনও মাপ নাই’ নামের দুটি সিনেমা।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু
চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন শহীদুল হক খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সিনিয়র সদস্য ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি তার লেখা বেশ ক’টি গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার ফাঁসির রায়, জেগে ওঠে বাংলাদেশ, হাজার জনতার দৃষ্টিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু সকলের উল্লেখযোগ্য।
সান নিউজ/জেএইচ