বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউড সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। নব্বই দশকে সাড়া জাগানো এই নায়িকা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন রূপালি পর্দায়। রূপের জাদুতে তিনি জয় করেছেন একাধিক প্রজন্মের দর্শকের মন।
আরও পড়ুন: মা হলেন চিত্রনায়িকা মাহি
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ‘১৩টি প্রশ্ন’ শিরোনামের আয়োজনে জীবনের বেশ কয়েকটি ইচ্ছার কথার জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় প্রশ্ন রাখেন, ক্যামেরার সামনে শেষ কথা হলে সেটা কী বলতে চান?
মৌসুমী বলেছেন, প্রথমত আমি বলব আমি যদি মরে যাই আমার সব ভুলে জন্য ক্ষমা চাই সবার কাছে। ক্ষমা করে দিবেন। আমার কয়েকটি ইচ্ছে আছে, একটি হলো আমি মারা যাবার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়। যেন খুব সিক্রেটলি কবর দেওয়া হয়। জানাজা হবে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে আর কেউ দেখুক।
মৃত্যুর আগে হজে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমি মারা যাবার আগে বড় হজ করতে চাই, আমি যেন হজ করতে পারি সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।’
আরও পড়ুন: মৌসুমীর বাজিমাত!
মৌসুমী আরও বলেন, ‘আমি মারা যাবার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দশর্কদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে সেগুলো ডিলিট করে দিবেন। তবে ছবি যদি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে মৌসুমী আর্কাইভে আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেখানেই সবাই আমার সব কিছু জমা দিয়ে দিবেন। যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোনো কাজ মনে হয় আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে বা গবেষণার কাজে আসবে তবে সে উদ্দেশ্যই ছবি গুলো সংরক্ষণ হবে। অবশ্যই বাছাইকৃত ছবি গুলো জমা দেওয়া হবে, এছাড়া অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিলে ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন আমার কিছু সাংগঠনিক ভাবে মৌসুমী ওয়েলফেয়ারের মাধ্যমে যেসব কাজ করার উদ্দেশ্য রয়েছে আমার সব ভক্তদের অনুরোধ করব এটাকে সব সময় সচল রাখার জন্য।’
প্রসঙ্গত, মৌসুমী ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছায়াছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। প্রথম চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে ছিল অকাল প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ। দুজনেরই এটি ছিল প্রথম চলচ্চিত্র। সিনেমাটি তখনকার সময়ে তেরো কোটি টাকা ইনকাম করে। যা ইতিহাসে রেকর্ড ব্যবসা করার নজির স্থাপন করেন। মৌসুমী বনে যান সুপাস্টার। ছিনিয়ে নেয় শীর্ষ নায়িকার আসন।
সান নিউজ/এনকে