বিনোদন ডেস্ক : আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম কিছুদিন পর পর আসেন লাইমলাইটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেব্রুয়ারিতে বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন আলোচনায়।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন হিরো আলোমের ভাস্কর্য। এর মাধ্যমে আবারো আলোচনায় আসলেন তিনি। নিজের ভাস্কর্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন : সোহাগ জল এখন পরকীয়া জল!
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভাস্কর্যের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হিরো আলম।
ফেসবুক পোস্টে হিরো আলম লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হলো আমার ভাস্কর্য।’
ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্র উত্তম কুমার।
হিরো আলমের ভাস্কর্য তৈরির বিষয়ে উত্তম কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভাগের স্টাডি ওয়ার্ক হিসেবে আমরা অনেক কাজ করি। ২০১৮ সালে স্টাডি ওয়ার্ক হিসেবে হিরো আলমের ক্যারেক্টর নিয়ে ভাস্কর্যটা তৈরি করি। এটা শুধু ভালো লাগার জায়গা থেকেই করা।
আরও পড়ুন : পরীর সিনেমা সেন্সরে
হিরো আলমকে ক্যারেক্টর হিসেবে গ্রহণ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তার চেহারার মধ্যে অন্যরকম একটা ব্যাপার আছে, যেটা আমরা ভাস্কররা খুব পছন্দ করি। ওই ধাঁচটা সাধারণ মানুষের চেহারায় থাকে না।’
এছাড়া হিরো আলমের ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান উত্তম কুমার।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে সবাই ভালোবাসেন। এ ঋণ কোনোভাবে আমি শোধ করতে পারবো না। সবার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। সবাই ভালোবাসে দেখেই আজ আমি হিরো আলম হতে পেরেছি। ইচ্ছা আছে, ভাস্কর্যটি আমি সংগ্রহ করবো।’
আরও পড়ুন : মানুষের ভালোবাসা সুদে-আসলে ফিরেছে
এ বিষয়ে উত্তম কুমার বলেন, ভাস্কর্যটার কাজ শেষ করে আমি আমার কাছেই রেখে দিই। হিরো আলমকে এটা দেওয়া হয়ে ওঠেনি। জগন্নাথ হলের দক্ষিণ ভবনে আমার কক্ষেই ভাস্কর্যটা রাখা আছে। ২০১৮ সালের পর হিরো আলমের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। হিরো আলম চাইলে ভাস্কর্যটা হস্তান্তর করব।
উত্তম কুমার চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনে থাকেন।
সান নিউজ/জেএইচ