বিনোদন ডেস্ক : সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় ফেঁসে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ।
আরও পড়ুন : ঢাকা শহর বাঙালিত্বকে ধারণ করে
ওই মামলায় আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন । তিনি বলেন, সুকেশ আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে । আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। বুধবার দিল্লি পাতিয়ালা হাউস কোর্টে মুখ খোলেন জ্যাকুলিন।
তিনি বলেন, সুকেশ আমাকে ভুল পথে চালিত করেছে। আমার ক্যারিয়ার, আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।
জ্যাকুলিনের দাবি, অভিনেত্রীর কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। মনে হয়েছিল, কেউ তার গতিবিধির ওপরে নজর রাখছে।
আরও পড়ুন : আজ চলচ্চিত্র উৎসব মাতাবে ‘দামাল’
তিনি জানান, পিঙ্কি ইরানি নামে এক নারীর মাধ্যমে তাদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল । সেই নারী জ্যাকুলিনের মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জ্যাকুলিনকে বলা হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।
সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন— তিনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা তার আন্টি। আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসেবে ও বলে যে, ওদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।
আরও পড়ুন : বিজয়-রাশমিকার রেকর্ড
জ্যাকুলিন বলেন, দিনে তিনবার তারা ফোনে ও ভিডিওকলে কথা বলতেন। অভিনেত্রীর দাবি, সুকেশ কখনই তাকে বলেননি, সে জেলে রয়েছে। একটা কর্নার থেকেই ভিডিওকল করত সুকেশ। সেখানে একটা সোফা রাখা ছিল আর পেছনে ছিল পর্দা।
২০২১ সালের ৮ আগস্টের পর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সুকেশ। তার পরেই জ্যাকুলিন জানতে পারেন, সুকেশ নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণেই গ্রেফতার হয়।
আরও পড়ুন : ‘কেজিএফ’ থেকে সরে যাচ্ছেন যশ
প্রসঙ্গত, সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। শেখর আমাকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি— শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এসব জানা সত্ত্বেও কখনই আমাকে বলেনি। যখনই আমি কেরালা যেতাম, তখনই প্রাইভেট জেটে যেতাম। ওই হেলিকপ্টার দিত আমায়। প্রাইভেট জেটে আমি দুবার চেন্নাই যাই, সুকেশের সঙ্গে দেখা হয়।
সান নিউজ/এসএম/এইচএন