সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম বছরের শুরুতে দুবাইয়ে ছুটি কাটিয়েছেন। এ বেড়ানোর ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে শিরোনামে মিম। ছবিটি নিয়েই শোরগোল চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
ছবি দেখে নায়িকা মিমের ভক্তেরা উচ্ছ্বসিত। নানা প্রশ্নও করছেন তারা। অনেকের জবাব দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের বিষয়ে অনেক গোপন কথাও।
সকল ছবিতে রংবেরঙের পোশাক পরতে দেখা গিয়েছে মিমকে। দুবাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর পোস্ট করেছেন। তা দেখেই এক ভক্ত জানতে চেয়েছেন, ‘‘আপনি কি এক পোশাক বার বার ব্যবহার করেন?’’
জবাবে মিম লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি আমার সব পোশাক অনেক বার ব্যবহার করি। কারণ আমার সব পোশাকই খুব পছন্দের।’’
একটি ছবি পোস্ট করে আবার নিজের সৌন্দর্যের রহস্যও ফাঁস করেছেন মিম। লিখেছেন, ‘‘প্রতি দিন নিজেকে একটু একটু পরিবর্তন করলে দিনটি আপনার সেরা হবে। প্রতিটি দিনের মধ্যেই রয়েছে সুন্দর হওয়ার সুযোগ।’’
আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’ বলিউড নয় তেলেগু সিনেমা
মিমের জন্ম কুমিল্লায়। বাবা ছিলেন শিক্ষক। মডেলিং দিয়ে মিমের কেরিয়ার শুরু। ২০০৭ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। প্রথম হন। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবি দিয়ে হাতেখড়ি। এর পর একের পর এক সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন মিম। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
কেরিয়ারে বার বার নায়কদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মিমের। যদিও সম্পর্কের কথা কখনও স্বীকার করেননি। অবশেষে ২০২১ সালে ফাঁস করেন তার সম্পর্কের কথা। বাগ্দানের কথাও ঘোষণা করেন।
২০২২ সালের শুরুতে ঢাকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারেন মিম। স্বামীর নাম সানি পোদ্দার। তিনি এক জন ব্যাঙ্কার।
বিয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে মিম জানিয়েছিলেন, ছ’বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন দু’জন। সানির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তারই এক বান্ধবী। ফেসবুকের মাধ্যমেই হয়েছিল সেই আলাপ। তার পর প্রেম এবং বিয়ে। এ সব কথাও তিনি জানিয়েছিলেন।
বিয়ের পর এক বছরও কাটেনি। গত বছরের শেষে নায়িকা পরীমণির স্বামী রাজের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ে মিমের। সমাজমাধ্যমে সরাসরি মিমের দিকে আঙুল তোলেন পরীমণি। জবাব দেন মিমও।
পরীমণির স্বামী সরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দু’-দু’টি ছবি মুক্তি পেয়েছে মিমের। ‘পরাণ’ এবং ‘দামাল’। দু’টি ছবিই দারুণ হিট। সেই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মিম সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তার পরেই ধেয়ে আসে পরীর তোপ।
আরও পড়ুন: নিজেকে ফিট হতে হবে
মিম ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত। সে কথাও পোস্টে লিখেছিলেন। জানিয়েছিলেন, শিক্ষক বাবার আদর্শ মেনেই অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তিনি। যারা তার নামে ‘ভিত্তিহীন’ কথা বলছেন, তাদের তীব্র ‘নিন্দা’ করেন মিম। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেন, দরকারে আইনি সাহায্যও নেবেন। ভক্তদের ‘বিভ্রান্ত’ না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
সান নিউজ/এসআই