সান নিউজ ডেস্ক: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিনা। এ অভিনেত্রীর স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ‘৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য’ মারধরের ঘটনায় করা মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: পুত্র সন্তানের বাবা হলেন রিয়াজ
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে সারিকা সাবরিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ২০ লাখ টাকা। বিয়ের সময় সারিকার বাবা-মা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক দেখেই সটকে পড়লেন বুবলী!
আরও বলা হয়, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করেন বদরুদ্দিন। এরপর ৫ নভেম্বর সারিকাকে ৫০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় সারিকাকে চুল ধরে এক কাপড়ে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন বদরুদ্দিন। এরপর ১৯ নভেম্বর ধানমন্ডিতে এক সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে বদরুদ্দিন বলেন, ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবে না।
এর আগে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। ২০১৬ সালে মাহিম করিম ও সারিকার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
প্রসঙ্গত, একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বিজ্ঞাপন করার মাধ্যমে ২০০৬ সাল থেকে সারিকা মিডিয়াতে পথ চলা শুরু করেন। বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
পরে মডেলিং এর পাশপাশি হুট করেই নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে যান তিনি। আশুতোষ সুজনের পরিচালনায় সেই নাটকের নাম ছিল ‘ক্যামেলিয়া’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকের হৃদয়ে।
সান নিউজ/এনকে