সান নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দীর্ঘ ১৯ দিন রোগের সঙ্গে লড়াই শেষে অনন্ত যাত্রার মিছিলে শামিল হয়েছেন এ অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: আমি চাই রাজ ও পরীমনি ভালো থাকুক
প্রেমিকার প্রয়াণে ভেঙ্গে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেতা সব্যসাচী। গত ১ নভেম্বর ঐন্দ্রিলার ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার পাশে সবসময় ছিলেন সব্যসাচী। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালেই ছিলেন ঐন্দ্রিলা। শেষ পর্যন্ত আইসিইউতে ছিলেন।
তার লড়াইকে ভালোবাসায় স্মরণ করছে, সেই সময় বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের কিছু হলে বাবা যেটা করত, আমিও সেটাই করছি।’ তাকে আলাদা করে ক্রেডিট দেওয়ার দরকার নেই বলে জানিয়েছিলেন এ অভিনেতা।
আরও পড়ুন: বুবলীকে ডায়মন্ড উপহার দিলেন শাকিব
বুধবার ঐন্দ্রিলা শর্মার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর থেকেই বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী। একটা একটা করে হার্ট বিট কমে যাচ্ছিল। আর তার বুক ভেঙে যাচ্ছিল অসহায়তায়। তবু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। কাছের বন্ধুর চোখ দুটো বড় হয়ে গিয়েছে। হাত অসাড়। মুখ, পা ফুলে যাচ্ছে।
এসব দেখে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেননি তিনি। এমন সময় নাকি নড়ে উঠেছিল ঐন্দ্রিলার হাত। মায়ার টান উপেক্ষা করতে পারেননি সব্যসাচী। ছুটে গিয়েছিলেন উপরে। শেষ পর্যন্ত মিউজিক থেরাপি চালিয়ে গিয়েছেন নিজ উদ্যোগে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
শনিবার বিকেলে দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মা সম্পর্কিত যাবতীয় পোস্ট ডিলিট করে দেন সব্যসাচী চৌধুরী। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ‘ঐন্দ্রিলা কি আর নেই?’ যদিও সেই সময় ছিলেন অভিনেত্রী।
সিপিআরসহ একাধিক সাপোর্ট দিয়ে তাকে রিভাইভ করা গিয়েছিল। রাতে ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার। শত চেষ্টা সত্ত্বেও আর ফেরানো সম্ভব হয়নি ঐন্দ্রিলাকে। সব্যসাচীকে সর্বহারা করে চলে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কালার্স বাংলার ঝুমুর ধারাবাহিকের সেটে দেখা হয়েছিল দুই তারকার। ক্যান্সারকে হারিয়ে তখন সদ্য বিনোদনের জগতে পা রেখেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই অভিষেক করেন তিনি। সব্যসাচী ছিলেন তার বিপরীতে। দুই তারকার পর্দায় রসায়ন মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। অফস্ক্রিন তাদের বন্ধুত্বও গাঢ় হয়ে উঠেছিল।
২০২১ সালে যখন ঐন্দ্রিলা শর্মা ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন, সেই সময় তার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন সব্যসাচী। গোটা লড়াইয়ে তার সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। বন্ধুকে খাইয়ে দিয়েছেন। গল্প পড়ে শুনিয়েছেন। ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পূরণ করেছেন। কঠিন মুহূর্তে তার অবলম্বন হয়ে উঠেছেন। যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ‘এভাবেও ভালোবাসা যায়?’ মৃত্যু এবং ঐন্দ্রিলার মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা। তবে মৃত্যুর কাছে এবার হারলো ভালোবাসা।
সান নিউজ/এনকে