সান নিউজ ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে সংগীতশিল্পী আকবরকে। রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের (বারডেম) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এই গায়ককে বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোর ৬টায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আল্লাহর কাছে অশেষ ধন্যবাদ
গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে অথৈ। তিনি বলেন, লাইফ সাপোর্টে বাবার সঙ্গে আমার সামান্য কথা হয়েছে। মুখ খুললেই তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। কথা বলতে পারছেন না। তারপরও অনেক কষ্ট করে বাবা আমাকে বললেন, ‘মনে হচ্ছে আমি আর বাঁচব না। কিছু একটা হয়ে যাবে। তোদের রাস্তায় ভাসাইয়া দিয়ে গেলাম। মাফ করে দিস।’ বাবার কথাগুলো শুনে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। তারপরও তাকে শান্ত্বনা দিয়েছি শক্ত থাকার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন আমার বাবাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু অবস্থা বেশি ক্রিটিকাল। এ অবস্থায় আল্লাহই পারেন একমাত্র বাবাকে বাঁচাতে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন: অপু-বুবলীর যাত্রা শুরু
দীর্ঘদিন ধরে নানান রোগের সঙ্গে লড়তে থাকা আকবরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ নভেম্বর দুপুরে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
দুই বছর ধরে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনি, রক্তের প্রদাহসহ আরও নানা শারীরিক জটিলতায় ভূগছেন আকবর। এসবের চিকিৎকসা করেও সেরে উঠতে পারছিলেন না তিনি। দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় তার শরীরে পানি জমে ডান পা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সপ্তাহ দুই আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই পা কেটে ফেলা হয়। পা কাটার পর তার কিডনি ও লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ জন্যই তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আকবরের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আল্লাহর কাছে অশেষ ধন্যবাদ
প্রসঙ্গত, দেড় যুগ আগে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে তুমুল হইচই ফেলে দেন তখনকার পেশায় রিকশাচালক আকবর। তবে সেই গান বদলে দেয় তার জীবন। রাস্তায় রিকশায় প্যাডেল মারা ছেড়ে গানে মনোনিবেশ করেন তিনি।
সান নিউজ/এনকে