সান নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে সিনেমার পর্দায় খুব একটা নিয়মিত নন এক সময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা।
আরও পড়ুন: এমন জীবনসঙ্গী পেয়ে আমি ভাগ্যবান
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিবেশ বাঁচাতে নানা কর্মসূচির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন জুহি। স্বেচ্ছাসেবী হয়ে বিভিন্ন অলাভজনক দাতব্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন।
এবার মুম্বাইয়ের বায়ু দূষণ নিয়ে সরব হলেন তিনি। শনিবার (২৯ অক্টোবর) টুইটারে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘কেউ কি খেয়াল করেছো… মুম্বাইয়ের বাতাসে অদ্ভুত পচা গন্ধ? এর আগে এই দুর্গন্ধ পেতাম যখন ওয়ারলি, বান্দ্রার দূর্ষিত জলাশয় কিংবা মিঠি নদীর পাশ দিয়ে যেতাম, এখন গন্ধটা পুরো দক্ষিণ মুম্বাইতে ছড়িয়ে গেছে…. এই দুর্গন্ধ, সঙ্গে একটা অদ্ভূত রাসায়ানিকের গন্ধ দূষিত বাতাসে… দিন আর রাত একই হাল...মনে হচ্ছে আমরা যেন নর্দমায় বাস করছি।’
আরও পড়ুন: শাকিব খানের পাশে সব সময় আছি
পরিবেশ সচেতনতায় প্রায়ই উদ্যোগী হন জুহি। পরিবার ও বন্ধুদের জন্মদিনে গাছ লাগিয়ে সেলিব্রেট করেন অভিনেত্রী। ৫জি পরিষেবা পরিবেশের ক্ষতি করবে না, এমনটা লিখিত দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে- এমন দাবি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন পর্যন্ত দাখিল করেছিলেন জুহি।
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পা রেখেছেন জুহি। ‘হুশ হুশ’ সিরিজে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া এ বছরের মার্চে মুক্তি পাওয়া ‘শর্মাজি নমকিন’ সিনেমায় দেখা মিলেছে এ অভিনেত্রীর।
আরও পড়ুন: ক্যাটরিনা কোনো কাজই পারে না
প্রসঙ্গত, সুলতানাত (১৯৮৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম অভিষেক করেন চাওলা এবং অত্যন্ত ব্যবসা সফল ট্র্যাজিক রোম্যান্স চলচ্চিত্র কায়ামত সে কায়মাত তাক (১৯৮৮) এর মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
এই চলচ্চিত্রে জন্য তিনি বছরের সেরা লাক্স নিউ ফেসের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় পারিবারিক ড্রামার চলচ্চিত্র যেমন স্বরগ (১৯৯০), থ্রিলার ধরনের প্রাতিবাদ (১৯৯০), রোমান্টিক চলচ্চিত্র বোল রাধা বোল (১৯৯২) এবং রোমান্টিক কমেডি রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান (১৯৯২) প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: গান শুনিয়ে ক্যাটকে ঘুম পাড়ান ভিকি
এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্রগুলিতে অভিনয় করেন। যেমন অ্যাকশন থ্রিলার লুটেরে (১৯৯৩) তে মদের বারের নর্তকী হিসাবে, নিজের প্রেম বিসর্জনকারি নারী হিসাবে আশিনা (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে, একজন দক্ষিণ ভারতীয় হিসাবে রোমান্টিক কমেডি হাম হেয় রহি পেয়ার কে (১৯৯৩), যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং রোমান্টিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ডর (১৯৯৩) তে একজন ক্ষতিগ্রস্ত নারী হিসাবে।
এছাড়াও তিনি বক্স অফিসের সফলতা অর্জনকারী চলচ্চিত্র যেমন সাজান কে ঘার (১৯৯৪), নাওজায়াজ (১৯৯৫), রাম জানে (১৯৯৫), লোফার (১৯৯৬), মি। এবং মিসেস খিলাড়ী (১৯৯৭), দেওয়ানা মাস্তানা (১৯৯৭), ইয়েস বস (১৯৯৭), ইশক (১৯৯৭) এবং অর্জুন পণ্ডিত (১৯৯৯) এর মত চলচ্চিত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছেন। ২১ শতকে, চাওলা আর্ট হাউস প্রকল্পগুলিতে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: আলিয়াকে সব সময় পাশে চাই
ঝঙ্কার বিটস (২০০৩), ৩ দিওয়ারিন (২০০৩), মাই ব্রাদার... নিখিল (২০০৫), বাস এক পাল (২০০৬), আই এম (২০১১), গুলাব গ্যাং (২০১৪) এবং চক এন ডাস্টার (২০১৬) ইত্যাদি কাজের জন্য সমালোচদের কাছ থেকে উচ্চ প্রশংসাধ্বনি অর্জন করেন।
তিনি বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেজ শো এবং কনসার্ট ট্যুরে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন দাতব্য ক্রিয়াকলাপের সাথে জড়িত রয়েছেন। চাওলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট দলের কোলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক। ১৯৯৫ সালে তিনি শিল্পপতি জে মেহতাকে বিয়ে করেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে