সান নিউজ ডেস্ক: মল্লিকা শেরাওয়াত বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী তারকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, পিয়ার কে সাইড এফেক্টস-এর মতো হৃদয় ছোঁয়া কমেডি সিনেমাও তো করেছি! ওয়েলকাম, দশাবতরম-এ অভিনয় করেছি। জ্যাকি চ্যান আমায় কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সব কাজ উপেক্ষা করে একপেশে তকমা দিয়ে রাখার ব্যাপারটা সত্যিই অবাক করে।
আরও পড়ুন: আমি তো তার মুখ বন্ধ রাখতে বলিনি
বলিউডের এসব জটিলতা থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসেন মল্লিকা। অন্যান্য তারকার মতো ভাড়া করা জনসংযোগকারীও রাখেননি। নিজের কাজ নিজেই সামলান অভিনেত্রী। কখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কখনও ভারত। বিভিন্ন দেশে চুক্তিতে কাজ করে চলেন। তারপরেও ভাবমূর্তি ঠিক নেই মল্লিকার।
মল্লিকার কথায়, আমি নেটমাধ্যম পছন্দ করি না। নেতিবাচক দিক এত বেশি যে, রীতিমতো ঘৃণা করি বলা যায়। আমি নিজের সম্পর্কে অন্যের মতামত শুনতে চাই না। তবে হরিয়ানার মেয়েরা যখন আমায় চিঠি লিখে জানায়, যা করেছ, তোমার নিজের টাকার জোরে। বাবার নয়, স্বামীর নয়, তোমার রোজগারে তুমি সাবলম্বী দিদি! তুমি আমাদের গর্ব। তখন ভালো লাগে।
আরও পড়ুন: আমার নাচতে ইচ্ছে করছে
অভিনেত্রী বলেন, আমার যে ভাবমূর্তি মিডিয়া তৈরি করেছে, সেটা গায়ে মাখলে চলবে না আসলে। আমি ভাল কাজের প্রস্তাবের অপেক্ষা করছি। ভালো কাজ করার চেষ্টা করে চলেছি।
২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন মল্লিকা। মোহময়ী উপস্থিতি, শরীরী আবেদনে উত্তাল করেছিলেন বলিউড। তার শরীরী ভাষায় পর্দায় আটকে যেত আমজনতার চোখ। বলিউডের সমালোচকদের চোখে মল্লিকা শেরাওয়াত ছিলেন ‘শরীরসর্বস্ব নায়িকা’। উইকিপিডিয়ার বিবরণীতেও তাকে বলিউডের ‘যৌন প্রতীক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ বছর বয়সীর সাথে রোমান্স বিতর্ক
মল্লিকা বলছেন, উইকিপিডিয়ায় কারা এসব লেখে? মানুষ কি এগুলোকেই গুরুত্ব দেয়? আমি নিজেও জানি না, কী ভাবে ঠিক করা যাবে এটা। তবে আমায় সত্যিই জানতে-বুঝতে হলে, আমাকেই দেখতে হবে। উইকিপিডিয়া বা নেটমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা ঠিক নয়।
‘মার্ডার’-এর পর আন্তর্জাতিক প্রকল্পে ডাক পেয়েছিলেন মল্লিকা। জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে চিনের ছবি ‘দ্য মিথ’-এ অভিনয় করেছিলেন।
আরও পড়ুন: এবার দক্ষিণী সিনেমায় ক্যাটরিনা!
বর্তমানে আসন্ন ছবি ‘আর কে’-র প্রচারে ব্যস্ত মল্লিকা। প্রচারে এসে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, জ্যাকি আমাকে ভিডিও টেপ দেখিয়েছিলেন। ‘দ্য মিথ’-এর জন্য এত জন বলিউড অভিনেত্রী অডিশন দিয়েছেন, আমি জানতামই না। না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু চরিত্রটা আমিই পেয়েছিলাম। সে জন্য গর্ব বোধ করি। নির্মাতারা আমার ফিটনেস পছন্দ করেছিলেন। যেহেতু আমি নিয়মিত যোগাসন করি।
প্রসঙ্গত, মল্লিকা বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তামিল, কন্নড়, হিন্দি, ইংরেজি এবং চীনা ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। খোয়াইশ (২০০৩) এবং মার্ডার (২০০৪) চলচ্চিত্রে সাহসীভাবে পর্দায় উপস্থিতির জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। শেরাওয়াত প্রায়শই যৌনতার প্রতীক হিসেবে গণমাধ্যমগুলোতে উপস্থিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে তিনি পেয়ার কে সাইড এফেক্টস সফল রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যা তাকে বিভিন্ন সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করতে সহায়তা করে।
এরপর, তিনি আপ কা সুরুর - দ্য রিয়েল লাভ স্টোরি (২০০৭) ও ওয়েলকাম (২০০৭)-এর মতোন সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং ডাবল ধামাল চলচ্চিত্রে, যা ছিল তার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সাফল্য। বলিউডের কয়েকজন তারকাদের মধ্যে তিনি একজন যিনি হিসসস (২০১০) এবং পলিটিক্স অব লাভ (২০১১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হলিউডে সমন্বিত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
২০০২ সালে জিনা সির্ফ মেরে লিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার পূর্বে তিনি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন এবং মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন।
সান নিউজ/এনকে