সান নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী নয়নতারা বিয়ের চার মাস পর যমজ সন্তানের মা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বলিউডে শিখর ধাওয়ান
গত ৯ অক্টোবর নিজের ইনস্টাগ্রামে দুই পুত্রসন্তানের ছবি পোস্ট করে এই ঘোষণা দেন নয়নতারার স্বামী বিগনেশ শিবান। তারপর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠে, বিয়ের চার মাস পর কীভাবে সন্তানের জন্ম দিলেন এই দম্পতি?
বিয়ের পর দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও নয়নতারার কোনো বেবি বাম্প দেখা যায়নি। তাহলে কি সন্তান দত্তক নিয়েছেন? নেটিজেনদের অনেকের দাবি— সারোগেসির মাধ্যমে এই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নয়নতারা-বিগনেশ। এবার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রমানিয়ান।
আরও পড়ুন: আমরা মেয়েরা অনেক বোকা!
ভারতীয় সংবাদমাদমাধ্যম দ্য নিউজ মিনিট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার (১০ অক্টোবর) চেন্নাইয়ে সংবাদিকদের মুখোমুখি হন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রমানিয়ান। এসময় প্রশ্ন রাখা হয়, চার মাসে আগে যে দম্পতি বিয়ে করেছেন, তারাও কি সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানসুখ লাভ করতে পারবেন? জবাবে মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ডিরেক্টরেট অব মেডিক্যাল সার্ভিসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে তদন্ত হবে এবং ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অর্থের বিনিময়ে গর্ভধারণ বা কমর্শিয়াল সারোগেসি। গত জানুয়ারি মাসে এ বিষয়ে সংসদে বিল পাস হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— যে সকল দম্পতিরা শারীরিকভাবে সন্তানধারণে অক্ষম, একমাত্র তারাই এই পথ অবলম্বন করতে পারবেন।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার লেডি সুপারস্টার নয়নতারা। ২০১৫ সালে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার শুটিং সেটে বিগনেশ শিবানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। তারপর ৭ বছর প্রেম করেন। চলতি বছরের ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বাঁধেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন: শাকিব-বুবলীর সাথে অভিনয়ে আপত্তি নাই
প্রসঙ্গত, নয়নতারা ২০০৩ সালে জয়ারামের সাথে মালয়ালম ছবি মানস্সিনাক্কারে দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি তামিল এবং তেলুগু ছবিতে কাজ করার পূর্বে সুপার হিট মালয়ালম ছবি নাত্থুরাজাভুতে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ২০০৫ সালে অভ্যএবং ২০০৬ সালে লক্সমি ছবি দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং ছবি দুটিতে সাফল্য পান।
পরে ব্যবসায়িক সাফল্যমন্ডিত একাধিক ছবি যেমন চন্দ্রমুখী (২০০৫), দুবাই সেনু (২০০৭), তুলসী (২০০৭), বিল্লা (২০০৭), ইয়ারাদি নি মোহিনী (২০০৮), আদ্ভান (২০০৯), আধূরস্ (২০১০), সিংহ (২০১০), বস এনজিরা ভাস্করন (২০১০), শ্রী রামা রাজ্যম (২০১১), রাজা রাণী (২০১৩), আরম্ভাম (২০১৩), থানি অরুভান (২০১৫), মায়া (২০১৫), নানুম রৌডি ধান (২০১৫), বাবু বঙ্গরাম (২০১৬), এবং ইরু মুগান (২০১৬) ছবিগুলোতে তিনি চরিত্র প্রধান হিসেবে অবদান রাখেন, যেগুলো পরে তাকে দক্ষিণাত্যের ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনুষ্কা শেট্টির পরে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সান নিউজ/এনকে