বিনোদন ডেস্ক: রানা সরকার ও জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের কাউকে চেনেনই না দাবি করে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান বলেছেন, গোটা খবরটাই ভুয়া! যাদের চিনিই না, তাদের সার্থে টাকা-পয়সার লেনদেনে কেন যাব!
আরও পড়ুন: বুদ্ধির খেলায় হেরেছে বাংলাদেশ
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে ফেসবুকে শাকিব খানকে নিয়ে ভয়ংকর বাগবিতণ্ডায় জড়ান রানা সরকার ও জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আনেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে এ বিতর্ক। তর্কের একটা পর্যায়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের নামও জড়ান তারা। রানা সরকারের দাবি ছিল, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এই অভিনেতার পরিবার শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে শাকিব খান বলেন, রানা সরকার ও জয়জিৎ ব্যানার্জি নামের কারও সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই। আমি ভারতে কাজ করেছি, তখন অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে হয়তো, কিন্তু এই নামে কারও কথা মনে করতে পারছি না। যাদের কথা মনে করতে পারছি না, তাদের কারও সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন করার তো প্রশ্নই আসে না। পুরো বিষয় শুনে মনে হচ্ছে, এটা তাদের ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব। আমার নামটা জড়ালে হয়তো খবরে আসা যাবে, তাই এমনটা করেছে। আমার মনে হয়, শাকিব খান নামটা জড়িয়েছে শুধু আলোচনায় আসতে। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনামে তো তারা এসেছে ঠিকই।’
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রী অপহরণ, যুবক গ্রেফতার
এর আগে রানা সরকারকে ‘নির্লজ্জ, আজব জীব’ বলে কটূক্তি করেন জয়জিৎ। জবাবে রানা অভিযোগ করেন, জয়জিতের পরিবারের লোকজন শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই অভিযোগ করে একটি পোস্ট দিয়ে শাকিব খানকে ট্যাগও করেন রানা সরকার।
পোস্টে রানা লেখেন, ‘জয়জিৎ ব্যানার্জীর পরিবারের লোক বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ শাকিব খানকে জিজ্ঞেস করুন জানতে পারবেন। এরপরও বড় বড় কথা, আজব লোক। স্ক্রিনশটগুলো থাকলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও দায়িত্ব পালনের নির্দেশ
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু অডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন রানা সরকার। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জোর গলায় বলছি, আমার কাছে কেউ টাকা পায় না। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে টাকা পায়, আমি দ্বিগুণ দেব। যারা হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে শুটিং হবে না, আমরা সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্য সিনেমা বানাতে গেছিলাম, উল্টো আমাদের ধমকি দেওয়া হলো, এর প্রতিকার না হলে শুটিং হবে না। আমার একার দায় নেই ভালো সিনেমা বানানোর, আমি অলরেডি ২৫ লাখ টাকা খরচ ফেলেছি, তবু প্রাণের ভয় নিয়ে কাজ করব না।’
পরে জয়জিতের পোস্টের কমেন্টে রানা সরকার লেখেন, ‘আমার কথা বলছ ভাই? অনেক আগেই তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, অফিসে আসতে বলেছিলাম, তখন তো পালিয়ে গেলে? আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছ? সাহস থাকে তো এসো সামনাসামনি কথা বলি, সেটা ফেসবুক লাইভে দেখাই সবাইকে? সাহস আছে, নাকি আবার পালিয়ে যাবে?’
আরও পড়ুন: চলে গেলেন মিখাইল গর্বাচেভ
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জয়জিৎ বলেন, ‘আমি অভিনেতা হয়ে একজন অভিনেতার থেকে কেন ৩০ লাখ টাকা নেব? শুধু আমাকে নয়, জীতু, কমল থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়—সবাইকে নিয়েই রানা সরকার মিথ্যা অভিযোগ করে। একটা লোক কতটা নিচে নামলে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে এ বিষয়ে টেনে আনে। খুব শিগগির আমি রানা সরকারের জবাব দেব। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
সান নিউজ/কেএমএল