বিনোদন ডেস্ক : এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় দর্শক নন্দিত চিরসবুজ অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের ব্যস্ততার মাঝেও ভক্তদের সাথে সময় কাটাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ সরব এই নায়িকা।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়
সোমবার (২২ আগস্ট) জয়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তার কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যা অন্তর্জালে তীব্র উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।
পোস্টকৃত ছবিগুলোতে দেখা যায়—জয়ার পরনে কালো রঙের পোশাক। তার ওপরে ধূসর রঙের একটি পাতলা শার্ট টাইপের পোশাক পরেছেন। মাথায় রঙিন কোকঁড়া চুল।
জয়ার আহসানের একেকটি ছবিতে একেক অভিব্যক্তি নেটিজেনদের মুগ্ধ করেছে। ভক্তবৃন্দরা মন্তব্য করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারের সাংগাইয়ে ৩০ সেনা নিহত
আজমিনুর নামে একজন লিখেছেন, ‘ন্যাচারাল বিউটি।’
ফারহানা হক নামে আরও একজন লিখেছেন, ‘আগুন! পুরাই আগুন! এত সুন্দর মেইনটেইন করেছেন নিজেকে।’
তাহিরা মঞ্জুর বৃষ্টি লিখেছেন, ‘সকালবেলা আগুন লাগায় দিলেন।’
নাজমুল ইসলাম রাব্বী নামে এক ভক্ত লিখেন, ‘অবশেষে আজকের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ খুঁজে পাওয়া গেল।’
আরও পড়ুন : নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম
অভিনেত্রীর দাবি— তার বয়স ৩৯। কিন্তু তার ছাপ বিন্দুমাত্র পড়েনি চেহারায়। বরং এ প্রজন্মের তরুণ নায়িকারাও তার শরীরি সৌন্দর্যের কাছে অনায়াসে হার মেনে যান। তাই তো নতুন এসব ছবিতে জয়াকে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
একজন লিখেছেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব।’ কেউ কেউ বলছেন, ‘জয়া যেন বনসাই।’ এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।
জয়া অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ঝরা পালক’ পশ্চিমবঙ্গে গত জুন মাসে মুক্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন : মার্কিনিদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ
কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনীভিত্তিক সিনেমাটি নির্মাণ করেন সায়ন্তন মুখার্জি। এতে জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্যপ্রভা দাশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
আগামী সেপ্টেম্বরে মুক্তির কথা রয়েছে জয়া অভিনীত ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাটি। মাহমুদ দিদার পরিচালিত এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া।
এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে তার আরও কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন : হাফ ভাড়া দাবিতে শিক্ষার্থীরা
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে জয়া আহসান অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায়। ‘গেরিলা’ সিনেমায় বিলকিস বানুর চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান। এরপর এই নায়িকার ‘চোরাবালি’ সিনেমাটিও প্রশংসিত হয়।
গুণী এই অভিনেত্রী এ পর্যন্ত ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি ওপার বাংলার সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কেড়েছেন।
কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা। এ তালিকায় রয়েছে—ফিল্মফেয়ার, আনন্দলোক পুরস্কার প্রভৃতি।
সান নিউজ/এইচএন