বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা বলেছেন, ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ঝামেলা ছিল, ঝামেলা না হলে তো কেউ সংসার ভাঙতে চায় না। সে কারণে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুই চালক নিহত
পূর্ণিমা আরও বলেন, ‘প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর (ফাহাদের সঙ্গে) ধরে সম্পর্ক নেই। যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে; মেয়ের বাবা সে। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে কোনো কিছু জানাতে চাইনি, যাতে মেয়ের ওপর কোনো অ্যাফেক্ট না হয়। কিন্তু (নতুন সম্পর্কটি) আমার মেয়েও ভালোভাবে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যেটা চলে গেছে। যেটা শেষ হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে মানুষের বেশি বেশি কৌতূহল থাকে। আসলে ওগুলো নিয়ে বলতে চাই না। কারণ ওটা তো অনেক বছরের সম্পর্ক। প্রায় ১২ বছর সম্পর্ক ছিল। এত বছর ধরে চেষ্টা করে গেছি। কোনোভাবে মনের মিল, বোঝাপড়া যেটা থাকে না ওটা হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রাইভেটকার খাদে, স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩
‘তিন প্রজন্মের ক্রাশ’ পূর্ণিমা বলেন, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’র নায়িকা বলেন, আমি কখনো আসলে কারো খারাপ চাই না। কখনো কারো লাইফ নষ্ট হোক সেটাও চাই না। যেটাই হোক না হোক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও যখন আর পারছিলাম না, তখন না পারতে চুপচাপ সরে এসেছি।
বিয়ে প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। রোজার ঈদের পর। পরিবারকে যখনই জানানো হয়েছে ওনারা বলেছেন, ‘তাহলে আর দেরি করো না। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেলো।’ কোনো ধরনের কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি। বিয়ের পর সবাই একটু অসুস্থ ছিলাম। প্রত্যেকেরই জ্বর, আমার আম্মা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। ফলে বিয়ের পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও সুযোগ হয়নি।’
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে ছেলের আত্মহত্যা
দুই মাসে নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন, জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো। ভালোভাবে আছি। সব ধরনের নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছি। সবাই যেন ইতিবাচকভাবে আমার বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে। কারণ মানুষ নেগেটিভ ভাইব দিয়ে এসব নিউজ ক্যাশ করতে চায়। ওটাকে ভয় পাচ্ছিলাম। আল্লাহর রহমতে যখন দেখলাম আমার দুই পরিবারই খুবই ভালোভাবে মেনে নিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ২ মাস আগেই। আশফাকুর রহমান রবিন নামে এক চাকরিজীবীর সঙ্গে গত ২৭ মে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পূর্ণিমা। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সেই সংসারের ইতি টানেন ২০০৭ সালের ১৫ মে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় বাসযাত্রী নিহত
পরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান আরশিয়া উমাইজা। কয়েক বছর ধরে জামালের সঙ্গে আলাদাই থাকছিলেন। তবে তিন বছর আগেই ফাহাদের সাথে বিচ্ছেদ হয় এ নায়িকার। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা উভয়ের কাছেই থাকেন।
চলতি বছরের গত ২৭ মে পূর্ণিমা ও রবিনের দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তিনি পেশায় বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
এদিকে, পূর্ণিমার আপলোড করা ছবিগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়, আপনি ‘বুড়ি’ হবেন কবে?, আমাদের বাবা-চাচাদের ক্রাশ ছিলেন আপনি, এখন আমাদের, পরবর্তী প্রজন্মেরও ক্রাশ হয়ে থাকবেন। কেউ লিখেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে , তেলের দাম বাড়ে, গাড়ি ভাড়া বাড়ে। শুধু পূর্ণিমার বয়স বাড়ে না, বলে মন্তব্য করছেন ভক্তরা।
তবে পূর্ণিমা বলেন, ‘এত অস্থির কেন আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য? তোমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করো। হ্যাঁ, আমি এখনও পর্যন্ত আছি, ভালোভাবে কাজ করছি এবং তোমাদের ভালো ভালো কাজ দিতে পারছি। সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করো। কে বুড়ি হলো, কার বয়স কী, কে কোথায় চলে যাচ্ছে, বদনামগুলো করো না।’
সান নিউজ/কেএমএল