সান নিউজ ডেস্ক: দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ২০১৭ সালে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার কাজ করেন। ওই সময়ে জানানো হয়—স্ত্রী লাবণ্যর সঙ্গে কবি জীবনানন্দ দাশের সম্পর্কের ধূসর দিকটি সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর আগামী ২৪ জুন মুক্তি পাচ্ছে এটি।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলরকে হত্যার হুমকি
সিনেমাটিতে কবি জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে দেখা যাবে জয়াকে। এ বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘কবিপত্নী হওয়া বেশ কঠিন। তা-ও আবার জীবনানন্দ দাশের মতো কবির। একটু টেনশনই হয়েছিল। ব্রাত্যদা বড় মাপের অভিনেতা। নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি লাবণ্যপ্রভা হয়ে ওঠার।’
একজন শিল্পীর স্ত্রী হওয়া যতটা কঠিন, শিল্পীর স্বামী হওয়াটাও কী ততটাই কঠিন? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেন, ‘‘আমার তো স্বামী নেই, কী করে বলি! তবে এটা মনে হয়, স্বামী বা স্ত্রী নয় ‘পার্টনার’ হওয়াটা সত্যিই কঠিন। শিল্পীদের জীবনে কত রকমের ওঠাপড়া, ঝড় থাকে, সেগুলোকে সামাল দিতে একটা শক্ত হাতের প্রয়োজন।’’
আর পাঁচটি বায়োপিকের মতো নয় ‘ঝরা পালক’। সিনেমাকে ক্যানভাসের মতো ব্যবহার করে কবির জীবন, তার ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট, আবেগ এবং আশেপাশের মানুষজনের কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক সায়ন্তন মুখার্জি। এতে তরুণ বয়সের জীবনানন্দের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি। অতীতের কিছু কাহিনি সাদা-কালোর আবহে দেখানো হয়েছে। জয়া আহসান ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—ব্রাত্য বসু, দেবশংকর হালদার, সুপ্রিয় দত্ত, বিপ্লব ব্যানার্জি, কৌশিক সেন প্রমুখ।
সম্প্রতি তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড (বাংলা)-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিনিসুতোয়’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এর আগে পরপর দুই বার ‘বিজয়া ও রবিবার’ এবং ‘বিসর্জন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পান জয়া। তার ঝুলিতে আছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আছে সিজেএফবি পারফর্ম্যান্স অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য সম্মাননা।
সান নিউজ/এনকে