বিনোদন ডেস্ক: কলকাতার উঠতি অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদার আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোট লিখেছেন। এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে বিদিশার ওই সুইসাইড নোট। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: ট্যাক্স দিয়ে পাচারকৃত টাকা আনা যাবে
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে বিদিশার খাট থেকেই পাওয়া গিয়েছিল সুইসাইড নোটটি। কোনও আলাদা পাতায় নয়, একটি খাতার শেষ পাতায় সুইসাইড নোট লেখেন বিদিশা, তার হাতের লেখাও ছিল অবিন্যস্ত। সেই সুইসাইড নোট সামনে আসতেই শুরু নতুন জল্পনা। পাশের বাড়ির কারা বিদিশার জীবনে সমস্যা তৈরি করেছিল? প্রতি মাসে কত টাকাই বা রোজগার করতেন বিদিশা? কত টাকা ইএমআই দিতে হতো তাকে? এখন এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বিদিশা তার সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাজ কমে গিয়েছিল বলে চলে গেলাম। আমার প্রফেশনাল লাইফে কাজ কমে গিয়েছিল। তাই আমার ইএমআই, ব্যক্তিগত খরচ, বাড়িভাড়া চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমি নিজের বাড়িতেও ভালো ছিলাম না। আমার পাশের বাড়ির ফ্যামিলি খুব ডিস্টার্ব করত। প্রতিমাসে আমি তিন থেকে চারটি শুট করতাম। তা দিয়ে আমার কিছু হতো না। কাউকে না জানিয়ে আমি ইভেন্ট করতাম। তা থেকেও আমার কিছু হতো না। আমি আত্মহত্যা করছি আর আমি সুইসাইড করেই হ্যাপি...'।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৫৩ কোটি ছাড়াল
এদিকে, এ বিষয়ে আরও একটি তথ্য উঠে আসছে। সায়নদীপ সামন্ত এক যুবক ফ্ল্যাট ভাড়া নেন দুমাস আগে। মালিককে জানান, তিনি আর তার দুই বন্ধু থাকবেন। সায়নদীপের সঙ্গে দিশানি মণ্ডল নামে এক তরুণী প্রথমে থাকতে শুরু করে। মাস দেড়েক আগে আসেন বিদিশা। ডকুমেন্টস ছাড়া বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছে মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে। তবে, বিদিশার প্রতিবেশী যিনি সুইসাইড নোট দেখেছেন তার দাবি, নোটে নিজেকে ক্যানসার আক্রান্ত বলেছেন বিদিশা। যদিও পুলিশের দাবি নোটে কেরিয়ার নিয়ে সমস্যার কথাই উল্লেখ রয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল