বিনোদন ডেস্ক : আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই স্মরণীয় দিন। তবে সময়টা বিশেষ হয়ে থাকে কোনও না কোনও স্মৃতিতে। স্মৃতির আস্তিন খুলে সে কথা জানিয়েছেন হালের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা আফরান নিশো—
আরও পড়ুন : বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় ৭ মৃত্যু
আমার মনে পড়ে যায়, বাবাশূন্য ঈদের কথা। আমার বাবা মো. আবদুল হামিদ মিয়া ২০২০ সালের ১ অক্টোবর মারা যান। এরপরের যে ঈদটা এসেছিল, সেটা খুব দাগ কেটে গেছে জীবনে। কারণটা অবশ্যই বাবাকে হারানো। আর একটা বিষয় মনে পড়ে, তা হলো ছোটবেলার ঈদ।’
ছোটবেলায় একটা আয়োজন থাকে, সেমাই-পায়েস খাবো, নতুন ড্রেস দেখবো, বাবার উপহারের জন্য অপেক্ষা করা।
সেই ঈদগুলো মনে পড়ে খুব। এরপর কিন্তু আর তেমন একটা ঈদের স্মৃতি মাথায় নেই। আর এখন যখন বাবাকে হারালাম তখন এই ঈদটা কঠিনভাবে হাজির হলো।
আরও পড়ুন : আনন্দ করতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে না আনি
আব্বু অনেক শাসন করতেন। তবে এর একটা সুবিধাও আমি পেতাম। কারণ, শাসনের পরই আমার জন্য উপহার অপেক্ষা করতো। বিষয়টি পরে বুঝেছি। তখন শাসনটা উপভোগ করতাম। আব্বুদের জেনারেশনের বাবাদের মধ্যে এটি দেখা যেত। তারা সন্তানদের খুবই শাসন করতেন, বকাঝকা করতেন আবার বিষয়টি পুষিয়ে দিতে এক্সটা আদরও দিতেন, উপহার রাখতেন। আমি সেই জেনারেশনের পুত্র। বাবা আমাকে যখন শাসন করতেন তখনই আমি মনে মনে অপেক্ষা করতাম আমার জন্য ভালো কোনও উপহার অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন : ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিলেন মোদি-মমতা
আমার বাবা কোনও কিছুতে ‘না’ করতেন না। হয়তো আমি একটা জিনিস চাইলে, তিনি তা দেবেন। খুব দিলদরিয়া টাইপের মানুষ ছিলেন। হয়তো দেরি হতো কিন্তু দিতেন।
আমি মাকে বলতাম, ‘জিনিসটা তো দেবেই, আব্বুকে বলো না আগে দিতে। তুমি বলছো না বলেই আব্বু দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতির চাকা
আমি অল্পতেই অস্থির হয়ে যেতাম। আর দেরি হলে আব্বু উপহারের সঙ্গে বাড়তি কিছু রাখতেন।
তাই আমার কাছে ছোটবেলার ঈদ ভালোবাসার দাগ হয়ে থেকে গেছে। আর শূন্যতার দাগ কেটে গেছে আব্বুশূন্য ঈদটা।
সান নিউজ/এইচএন