সান নিউজ ডেস্ক: দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেছেন, ‘এবার আমি এপার বাংলায়। বিয়ের পর এ বছরই আমি পহেলা বৈশাখে প্রথম শ্বশুরঘরে। এবারও আমি উঠে পড়ব কাকডাকা ভোরে। স্নান সেরে, খোলা চুলে, লাল পেড়ে সাদা খোলের শাড়িতে। কপালে লাল টিপ। বাংলা নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতোই লাল টকটকে! কিন্তু পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকবে না।
আরও পড়ুন: মিসেস ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশ থেকে পিয়া বিপাশা
থাকবে না ঢাকার দিগন্তবিস্তৃত রমনা পার্ক। যার বটমূলে ভোর থেকে নানা জেলার শোভাযাত্রা এসে জমায়েত হয়। যেখানে গোটা ঢাকা শহর পাত পেড়ে বসে যায় পান্তা-ইলিশ খেতে। কলকাতা, তুমি কি আমায় দিতে পারবে আমার দেশের রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?’
তবে এ বছর সেটা হচ্ছে না। কারণ তিনি কলকাতায় স্বামীর বাড়িতে। তাই রমনার বটমূলের স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে তার মনে। যদিও লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে সেজেছেন, কিন্তু পহেলা বৈশাখের পূর্ণ স্বাদ তো কলকাতায় বসে পাওয়া সম্ভব নয়। সে কথাই অকপটে জানালেন মিথিলা।
কলকাতার একটি গণমাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিশেষ লেখা দিয়েছেন মিথিলা। সেখানেই তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ জাতীয় স্তরের উৎসব। এক সপ্তাহ ধরে চলে তার প্রস্ততি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জেগে বানান নানা ধরনের মুখোশ, পোস্টার, লতা-পাতায় সাজানো ফেস্টুন। সেই সব নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ভোর থেকে। সবার পরনে লাল পাড়, সাদা শাড়ি। কপালজুড়ে টিপ। গলায়, ‘এসো হে বৈশাখ গান’। সংসদ ভবনের সামনের লম্বা রাস্তা জুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় আল্পনা। রমনা মাঠ-সহ সমস্ত উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পান্তা-ইলিশ পর্ব। বন্ধু, পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার পরে বাড়ি ফিরে দুপুরে রকমারি ভর্তা দিয়ে ভাত। এগুলো যে না দেখেছে, সে বুঝবে না এর ভিতরে কতখানি শান্তি, তৃপ্তি লুকিয়ে।
আরও পড়ুন: মা হতে চলছেন ক্যাটরিনা কাইফ!
মেয়ে আইরাকেও বৈশাখী সাজ শিখিয়েছেন জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আমার মেয়ে দুই বাংলার নববর্ষ দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে। শিখেছে, ইংরেজির ১২ মাসের মতোই বাংলাতেও ১২ মাস রয়েছে। আর বাঙালির আছে ১২ মাসে তেরো পার্বণ। সেই পার্বণের শুরু পহেলা বৈশাখ দিয়ে। মেয়েকে আমার মতো করেই সাজতে শিখিয়েছি। আগামীতে পহেলা বৈশাখের ভোরে আইরার সাজেও যাতে থাকে লাল পেড়ে ঢাকাই শাড়ি। কপালে লাল টিপ।’
সান নিউজ/এনকে