সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনোয়ারা গুরুতর অসুস্থ। কাউকে চিনতে পারছেন না তিনি।
আরও পড়ুন: বিপাশা হায়াতের ৫১তম জন্মদিন
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে আনোয়ারার এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানান মুক্তি।
মুক্তি বলেন, মায়ের অবস্থা ভালো নয়। কাউকে চিনতে পারছিলেন না কয়েকদিন ধরে। চোখেও ঝাপসা দেখছিলেন। কয়েকদিন আগে আম্মার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়। আমাকেও চিনতে পারতেন না। তবে আল্লাহর রহমতে এখন একটু ভালো। এখন বাসায়ই চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার বলেছেন, ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
মুক্তি আরও জানান, গত ১১ মার্চ রাতে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আনোয়ারাকে। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: এবার ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম
বুধবার (২৩ মার্চ) আনোয়ারাকে আজীবন সম্মাননা দিতে যাচ্ছে রাষ্ট্র। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হল অব ফেম মিলনায়তনে বসছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’–এর আসর। সেখান থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিল আনোয়ারার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সশরীরে পুরস্কারটি তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে আনোয়ারার আগমন ঘটে। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৬১ সালে ১৪-১৫ বছর বয়সে অভিনেতা আজিমের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এসময় তিনি পরিচালক ফজলুল হকের ‘আজান’ চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। নাচ শিখেছেন ওস্তাদ দেব কুমার এর কাছে। চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার সময় এর নাম পরিবর্তন করে ‘উত্তরণ’ রাখা হয়। তবে ‘উত্তরণ’ চলচ্চিত্রটি পরে মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘নাচঘর’।
এ চলচ্চিত্রেও তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুল জব্বার খান ছিলেন এ চলচ্চিত্রের পরিচালক। উর্দু ভাষার এ চলচ্চিত্রটি ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায়। একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রীত না জানে রীত’ চলচ্চিত্রেও নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছিলেন। এর পরে তিনি বেশ কিছু উর্দু ও বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি জহির রায়হানের সংগম চলচ্চিত্র প্রথম সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন। ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জানাজানি’ চলচ্চিত্রটি তার জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ছবি। ওই ছবিতে তার নায়ক ছিলেন শওকত আকবর। ১৯৬২ - ১৯৬৬ সালে তিনি মোট ১৯টি চলচ্চিত্রে বিভিন্ন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।
সান নিউজ/এনকে