সান নিউজ ডেস্ক: দেশের মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র আলোকিত করা জনপ্রিয় ও নন্দিত অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতের জন্মদিন আজ। তিনি আজকাল নিজেকে একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেই পরিচিত করতে বেশি আনন্দবোধ করেন। মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ আজকের এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এরপর পুরো নব্বই দশকে ছিলেন শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। একে একে অভিনয় করেন শঙ্কিত পদযাত্রা, রুপনগর, ছোট ছোট ঢেউ, অন্য ভুবনের ছেলেটা, চেনা অচেনা মুখ, থাকে শুধু ভালোবাসা, বীজমন্ত্র, স্পর্শ, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই, বিপ্রতীপ, অতিথি, হার জিত, আশিক সব পারে, বিষকাঁটার মত জনপ্রিয় নাটকগুলিতে।
সেই দশকে অনেক অভিনেত্রীই লাক্সের বিজ্ঞাপন করেছিলেন। তবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক তিনিই নিয়েছিলেন। মডেলিং জগতেও খেতাব ছিল তার। একটা সময় পর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে যখনই ফিরে এসেছেন তখনই নিজেকে সমাদৃত করেছেন।
এর মধ্যে অন্যতম কাজ ছিল দিল দরিয়া, ইনসমনিয়া, শেষ বলে কিছু নেই, দুই বোন, হাতটা বাড়িয়ে দাও, চিনিখোর অন্যতম।
জানা যায়, নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র কেয়ামত থেকে কেয়ামত এ অভিনয়ের জন্য অফার পেয়েছিলেন বিপাশা। তবে বাণিজ্যিক ছবি করবেন না বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর দু’টি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা আগুণের পরশমনি ও জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
অভিনয়ের বাইরে তিনি নাট্যকার। অনেক নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে শুধু তোমারেই জানি, শুকতারা, শঙখবাস, ঘাসফুল, প্রেরণা অন্যতম।
উপস্থাপক হিসেবেও সুপরিচিতি আছে তার। বিপাশার অতিথি নামক একটা অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আবৃত্তি ও গানেও দক্ষ তিনি।
প্রসঙ্গত, বিপাশা হায়াত টিভি অভিনেতা আবুল হায়াতের কন্যা। তার ছোট বোন নাতাশা হায়াতও একজন টিভি অভিনেত্রী। তার অন্য আরেকটি প্রতিভা হল তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বছর কয়েক আগে এসিড আক্রান্ত নারীদের সাহাযার্তে নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সাংস্কৃতিক জীবনের মত ব্যক্তিগত জীবনটাও তার মসৃন ও পরিস্কার। বিপাশা হায়াত জনপ্রিয় অভিনেতা নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক তৌকির আহমেদের স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
সাননিউজ/এমআরএস