সান নিউজ ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। শামীম আহমেদ রনির চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন সেলিম খান। সিনেমাটির প্রযোজনায় স্টোরি স্প্ল্যাশ প্রোডাকশন।
আরও পড়ুন: এবার ছেলের মা হচ্ছেন রুমানা
টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই সিনেমাটিতে কিশোর বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শান্ত খান। তার স্ত্রী রেণুর চরিত্রে আছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
গত বছরের এপ্রিলে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এরপর জুলাইতে দেশের সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই সিনেমা প্রদর্শনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার দেশের সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিনামূল্যে সিনেমাটি প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সব টিভি চ্যানেলে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমাটি প্রচার হবে।
এর আগে গত বছরের ৮ আগস্ট ভারতের নয়া দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
এই সিনেমায় শান্ত খান ও দীঘি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন শিবা শানু, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মাজনুন মিজান, দিলারা জামান, নাজনীন হাসান চুমকি, সুব্রত প্রমুখ।
এফডিসি, চাঁদপুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হয়েছিল সিনেমাটির চিত্রায়ন। সংশ্লিষ্টদের মতে, বঙ্গবন্ধুর জীবন অবলম্বনে এফডিসি থেকে নির্মিত প্রথম সিনেমা এটি।
আরও পড়ুন: সানির বাংলাদেশে আসার অনুমতি বাতিল
প্রসঙ্গত, শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ই মার্চ ১৯২০ – ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের ‘জাতির জনক’ বা ‘জাতির পিতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি ‘শেখ মুজিব’ বা ‘শেখ সাহেব’ নামে এবং তার উপাধি ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবেই অধিক পরিচিত।
সান নিউজ/এনকে