বিনোদন ডেস্ক: শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি বলেছেন, ‘জায়েদ বা নিপুণ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো— সংগঠনের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা। আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেখেই জায়েদকে শপথ পড়িয়েছি। এখন কে বা কোন সংগঠন তাকে পছন্দ করল না, সেটি বিষয় না। আদালতের রায় মানতে আমি বাধ্য।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন অনন্ত-বর্ষা
এ সময় জায়েদ খানকে বয়কট ও বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এছাড়া ব্যক্তিকে ইস্যু করে শিল্পী সমিতিকে ছাড়াই বৈঠক করাকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘প্রত্যেকটা সমিতি গঠনতন্ত্র দিয়ে চলে। এখানে কারও ওপর কারও খবরদারি সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। ১৮ সংগঠন শিল্পী সমিতিকে ডাকলে আমি অবশ্যই যেতাম। তবু চাইব বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে। নইলে ইন্ডাস্ট্রি আরও তলানিতে যাবে। মানুষের হাসির পাত্র হব আমরা।’
এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে শপথ নেওয়ার পর দিনই জায়েদ খানকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন। ১৮ সংগঠনের নেতা সোহানুর রহমান সোহানের দাবি ছিল— হাইকোর্টের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ না পড়ানোর। কিন্তু শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সেটি না করায় ক্ষুব্ধ ১৮ সংগঠনের সদস্যরা।
গত শনিবার সকালে এফডিসিতে এক বৈঠকে জায়েদ খানকে বয়কটসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে শিল্পী সমিতিকে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন করে আমন্ত্রণ জানানো হয় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিকে, যা নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
শিল্পী সমিতিকে পাশ কাটিয়ে বৈঠকের বিষয়ে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান জানান, ‘আমরা জায়েদ খানকে বয়কট করেছি। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে বলেছিলাম, কোটের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ পড়াবেন না। তিনি সে কথা শোনেননি। তাই যতদিন জায়েদ খান থাকবে, শিল্পী সমিতিকে বাদ দিয়েই সব কিছু হবে।’
সান নিউজ/এমকেএইচ