বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বাবা মহেশ ভাট একবার সঞ্জয় লীলা বানসালিকে ওভাররেটেড পরিচালক বলেছিলেন।
করণ জোহরের জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন মহেশ। সঙ্গে ছিল তার ভাগ্নে ইমরান হাশমি। অনুষ্ঠানে কথোপকথনের এক পর্যায়ে মহেশ ভাট দাবি করেছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি একজন ওভাররেটেড চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আজ সেই পরিচালকের হাত ধরেই তার মেয়ে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে প্রশংসিত ও হিট সিনেমাটি পেতে যাচ্ছেন।
‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে আলিয়া ভাট আছেন। এছাড়াও ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড সুপারস্টার অজয় দেবগণ। আরও আছেন বিজয় রাজ, শান্তনু মহেশ্বরী, হুমা কুরেশি।
আরও পড়ুন: কটাক্ষের শিকার সালমান খান
বলিউডের জাদুকর চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। তার সিনেমা মানেই ব্লকবাস্টার হিট। সিনেমা দিয়ে পর্দায় জাদু তৈরি করার জন্য বেশ পরিচিত বানসালি। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ সিনেমার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন এই পরিচালক। মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি ১০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে।
এ সিনেমায় গাঙ্গুবাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। অভিনেত্রীও ভাসছেন নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছে। তার নতুন রূপ ও অভিনয়ে মুগ্ধ ভক্ত-অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, মহেশ ভাট (জন্ম: ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন। তার কর্মজীবনের শুরুর দিকের দুটি সমাদৃত চলচ্চিত্র হল অর্থ (১৯৮২) ও সারাংশ (১৯৮৪)। এই দুটি কাজের জন্য তিনি যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ সংলাপ বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। সারাংশ চলচ্চিত্রটি ১৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য নিবেদন করা হয়েছিল। তার পরিচালিত প্রথম বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র ছিল ১৯৮৬ সালের নাম। তিনি ১৯৮৭ সালে বিশেষ ফিল্মসের ব্যানারে কবজা চলচ্চিত্র দিয়ে তার ভাই মুকেশ ভাটের সাথে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৯৯০-এর দশক ভাট স্যার (১৯৯৩) চলচ্চিত্র পরিচালনা করে সমাদৃত হন। এছাড়া তার গুমরাহ (১৯৯৩) ও ক্রিমিনাল (১৯৯৪) চলচ্চিত্র দুটি ব্যবসাসফল হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে (১৯৯৩) চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি আত্মজীবনীমূলক জখম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে নার্গিস দত্ত পুরস্কার লাভ করেন। তিনি সমকালীন কয়েকটি চলচ্চিত্রও প্রযোজন করেন, সেগুলো হল জিস্ম (২০০৩), মার্ডার (২০০৪), ওহ লামহে... (২০০৬)। তিনি তার ভাই মুকেশ ভাটের সাথে চলচ্চিত্র প্রযোজনা কোম্পানি বিশেষ ফিল্মসের সহ-মালিক।
সান নিউজ/এনকে