বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ বলেছেন, ‘আমি যদি ভেতরে না থাকতাম আমার প্যানেল বা প্রেসিডেন্ট কাউকেই আনতে পারতাম না। যদি ভেতরে শকুনের দৃষ্টি নিয়ে না থাকতাম তাহলে হয়ত তাদের পুরো প্যানেল জিতে যেত। প্যানেলকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজে হেরে গেলেও আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি হ্যাপি।’
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চন আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের জায়েদ খান। তবে হেরেছেন রিয়াজ। তিনি মিশা-জায়েদ প্যানেলের মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১৯ ভোট) এবং মাসুম পারভেজ রুবেল (১৯১ ভোট) কাছে হেরেছেন।
আরও পড়ুন: ইলিয়াস কাঞ্চন-জায়েদকে মিশার অভিনন্দন
জানা গেছে, নির্বাচনের দিন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা যখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বুথের বাইরে থেকে সবার কাছে ভোট চেয়েছেন, ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন, ভোট দেয়ার আবদার করেছেন, নায়ক রিয়াজ তখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো বুথের ভেতরে নিজ প্যানেলের ভোট পাহারায়। ফলে কোনো ভোটারের সঙ্গেই এদিন তার কথা বলার, ভোট চাওয়া সুযোগ হয়নি। রিয়াজ বুথের বাইরে থেকে অন্য প্রার্থীদের মতো কাজ করতে পারলে, ভোট চাইতে পারলে হয় তো জিততেও পারতেন তিনি।
রিয়াজ বলেন, ‘আমার প্যানেলকে আনতে হবে। আমার কাছে নিজেরটা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমি মনে করি এর মাধ্যমেই আমি জয়ী হয়েছি। এবং আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এটা ব্যক্তিগত কোনো চিন্তা নয়।’
আরও পড়ুন: সবাইকে সঙ্গে নিয়েই শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করবো
তিনি আরও বলেন, ‘একটা দল হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে লড়েছি। আমার ইচ্ছা ছিল তাদেরকে জায়গাটায় আনা। এটার জন্য কেউ আমাকে বাহবা দিলো, ক্রেডিট দিলো সেটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পুরো নির্বাচনেই আমি টিমের হয়ে কাজ করেছি, নিজের জন্য নয়। আমি যদি নিজের জন্য ১০ পারসেন্টও কাজ করতাম, আমাকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো ছিল না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমি আসতাম হয়ত। তবে আমার প্যানেলের অনেকেই বাদ পড়ত।’
সুদর্শন নায়ক রিয়াজ বলেন, ‘নির্বাচনের ফল নিয়ে কোনো কনফিউশন নেই। আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রেজাল্ট টেম্পারিং করার কোনো সুযোগও ছিল না। যদি আমরা না থাকতাম, তা হলে হয়তো টেম্পারিং হতে পারতো। হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’
সান নিউজ/এমকেএইচ