বিনোদন ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শুটিং। লকডাউনের কারণে বাতিল হয়েছে একাধিক প্রজেক্ট। নামী তারকাদের এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার খুব একটা সমস্যা না হলেও অনেক শিল্পীরই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।
টেকনিশিয়ানদের পাশে এই সময় দাঁড়িয়েছে অনেক সংস্থা, অনেক তারকা।
কিন্তু অনেক অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সামনে সেই পথ খোলা নেই। তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো নেই কেউ। অথবা তারাই সাহায্যে হাত পাততে চাননি। তাই লকডাউনের মধ্যে রোজগারের তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন তারা। এমনই একজন ‘ইয়ে শালি আশিকি’র অভিনেতা কমল রেক্সওয়াল।
কমল চলচ্চিত্রে খুব একটা পরিচিত নন। ‘ইয়ে শালি আশিকি’ ছাড়া বলিউডে আর কোনও ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি। কিন্তু থিয়েটারের জগতে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। প্রচুর থিয়েটারে অভিনয় করেছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ রোধে মার্চ মাসে শুরু হয় লকডাউন। তার কিছুদিন আগে থেকেই বলিউড শুটিং বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বন্ধ থিয়েটারও। কাজ না থাকায় দিল্লিতে, নিজের বাড়ি ফিরে যান কমল। কিন্তু সেখানে গিয়েও মুশকিলে পড়েন। কাজ নেই, পকেট ফাঁকা। তাই পেটের দায়ে দিল্লির রাজপথে ক্যাব চালানোর কাজ নিলেন তিনি। এভাবেই চলছিল। পরিচিত মুখ না হওয়ায় তাকে কেউ চিনতেও পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কর্মী তাকে দেখে চিনতে পারেন।
তখনই কমল জানান, লকডাউনে কাজ বন্ধ। তাই দৈনন্দিন খরচ চালাতে তিনি ক্যাব চালানোর কাজ বেছে নিয়েছেন। রোজ এভাবেই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন তিনি। এতে অন্তত পেটে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পড়ে।
শুধু কমল রেক্সওয়াল নন, এমন অবস্থা অনেক বলিউড অভিনেতার। কিছুদিন আগে খবরে এসেছিল সোলাঙ্কি দিবাকরের কথা। পেটের দায়ে মুম্বাইয়ের রাস্তায় ফল বিক্রি করছেন তিনি।
সোলাঙ্কি জানান, লকডাউন ক্রমাগত বাড়ছে। পরিস্থিতি যা, তাতে আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। কিন্তু তাকে তো বাড়িভাড়া দিতে হবে। পরিবারের খরচও জোগাতে হবে। তাই কার্যত বাধ্য হয়ে ফল বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।
ওখলা মান্ডি বাজারের কাছে রোজ পসরা সাজান সোলাঙ্কি। প্রতিদিন ভয় নিয়েই কাজ করতে বের হন। যদি লকডাউন ভাঙার দায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ? কিন্তু ভেবেও তো কিছু করার নেই। কীই বা করবেন? সোলাঙ্কি বলেছেন, ‘যদি করোনা প্রাণ না নেয়, পেটের খিদে নেবে।’
সান নিউজ/ আরএইচ