বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউডে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সম্প্রীতি বিয়ে ও মাতৃত্বের জোড়া খবর দিয়ে চমকে দিলেন পরীমনি।একইভাবে ঘোষণা দিলেন, আগামী দেড় বছর তিনি শুটিংয়ের বাইরে থাকছেন।
১০ জানুয়ারি এমন ঘোষণার পর বিপাকে পড়ে যান তাকে নিয়ে নির্মাণ চলতি সিনেমার নির্মাতা-প্রযোজকরা। যার মধ্যে অন্যতম দুটি ছবি- অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ এবং রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। এই দুটি ছবি নিয়ে খোদ পরীমনির মধ্যেও ছিলো অনেক উচ্ছ্বাস। কিন্তু হঠাৎ প্রেম-বিয়ে-বাচ্চার ঘটনায় রাতারাতি পাল্টে দেয় পরিস্থিতি। সেই বিপদ আরও ঘনীভূত হলো, যখন অসুস্থতার কথা বলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকেও নিজের নামটি প্রত্যাহার করে নেন পরীমনি।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নির্মাতাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন শুটিংয়ে ফেরার। বিশেষ করে অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ সিনেমার শুটিং শেষ করে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
অরণ্য আনোয়ার জানান, ২২ জানুয়ারি থেকে ‘মা’ ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন পরীমনি।
তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে আমরা দ্বিতীয় লটের শুট শুরু করতে যাচ্ছি। পরীমনি যোগ দেবেন ২২ তারিখ। তার বাসায় আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা করেছি, মোটকথা আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে ‘প্রীতিলতা’ টিমের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পরীমনি এই ছবিটির শুটিংও শেষ করে দিতে চান। কারণ এরমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে ছবিটির। বাকি অংশটি আটকে আছে পরীমনির অপেক্ষায়। জানা গেছে, দুই মাস পর এই ছবিটির জন্যেও সিডিউল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরীমনি।
ছবিটির শেষ লটের শুট শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে। চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা একসঙ্গে বসেছি শনিবার রাতে। এখানে তো আসলে সিনেমা দেখলেই হবে না, পরীমনিকেও দেখতে হবে। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে মার্চ মাসে বাকি অংশের শুট করবো।
পরীমনি বিয়ে-বাচ্চার চমক এবং শুটিং না করার ঘোষণার আগেই করোনাকালজুড়ে টানা শেষ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’, ‘চয়নিকা চৌধুরীর ‘কাগজের বউ’, রায়হান জুয়েলের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ও ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’।
সান নিউজ/এনকে