বিনোদন ডেস্ক:
ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুম্বাই পুলিশ।
মৃত্যুর সাত দিন আগেই ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই বলিউড তারকা।
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে সুশান্ত লিখেন, চোখের জলে ঝাপসা হয়ে আসা অতীত। দ্রুত চলে যাওয়া একটা জীবন আর কখনো না থামা স্বপ্নের মাঝে সমঝোতা করে চলেছি মা।
এ পোস্ট থেকেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মানসিক অবস্থা আঁচ করা যাচ্ছে। এ পোস্টের দুই দিন পরই তার সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ান একটি ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহনন করেন।
আর দিশার মৃত্যুর পাঁচ দিনের মাথায় আত্মহনন করলেন বলিউডের অন্যতম হার্টথ্রব সুশান্ত সিং রাজপুত।
এরই মধ্যে দিশার আত্নহননের পরই সুশান্তের আত্মহননের কারণে বলিউডসহ ভক্তদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দিশা সালিয়ান এক সময় সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বরুণ ধাওয়ানের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। কিছুদিন বলিউডের অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও কৌতুক শিল্পী ভারতী সিং এর ম্যানেজারও ছিলেন দিশা।
বলিউডের পরিচিত দুই মুখের মৃত্যু রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে সবার মনে। দিশা আত্মহননের আগে কোনো সুইসাইড নোট (চিরকুট) রেখে যাননি। অনেক তল্লাশির পর সুইসাইড নোট না পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। তাই কি কারণে দিশা আত্মহনন করলেন তা পরিষ্কার নয়।
দিশার মৃত্যুর পাঁচ দিন পরই সুশান্ত আত্মহননের পথ বেছে নেয়ার বিষয়টি সবাই দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে। বলিউডে ভালো অবস্থানে থাকা এ অভিনেতা হঠাৎ বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
এছাড়া মৃত্যুর আগে সুশান্ত কোনো সুইসাইড নোট রেখে যাননি। তবে ইনস্ট্রাগ্রামের পোস্ট অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে।
যেখানে দিশার মতো প্রিয় মুখ আত্মহননের পর সবাই স্তব্দ, ঠিক তখনই সুশান্তের আত্মহননে বাকরুদ্ধ বলিউড। তাদের মধ্যে কি যন্ত্রণা ছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এর আগে ২০০২ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মায়ের মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/সালি