বিনোদন ডেস্ক: গান গেয়ে লাখো মানুষের মন জয় করেছেন সংগীতশিল্পী শারমীন আক্তার। একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমে নজরে আসেন শারমীন। এরপর কণ্ঠের যাদুতে ধীরে ধীরে দেশ ও দেশের বাইরের লাখো দর্শকের ভালোবাসা পান
এখন তার কেবল সরব থাকার কথা ছিল, কণ্ঠের যাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে নিজেকে ছাপিয়ে যাবার কথা ছিল। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কোকিলকণ্ঠী মেয়েটি। এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে করুণ সময় কাটছে তার। বাবার আহাজারি, মায়ের কান্না পাশেই নিশ্চুপ শুয়ে শুনছে মেয়েটি।
হাসপাতালের বিছানায় সংকটাপন্ন অবস্থায় মেয়ে। শারীরিক অবস্থা দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। থাইরয়েড সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও এখন শরীরের রক্ত সঞ্চালন ১০ ভাগে নেমে এসেছে। এই মুহূর্তে জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে শারমীন।
একদিকে জীবননাশের শঙ্কা অন্যদিকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানোও সম্ভব হচ্ছে না মেয়েটির। মেয়ে বাঁচবে কি বাঁচবে না সেই উৎকণ্ঠায় মায়ের চোখের পানিও আর থামতে চাইছে না।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার মেয়েটাকে বাঁচান। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমার মেয়ে যেন আগের মতো ভালো হয়ে যায়।
অসহায় বাবা হুমায়ুন কবিরও পেশায় একজন বাউল শিল্পী, তার নুন আনতে পান্থা ফুরায় অবস্থা। শারমীন গান গেয়ে যে অর্থ পান তা দিয়েই চলতো তাদের সংসার।
মেয়েকে বাঁচাতে নিরূপায় এক অসহায় বাবা তাকিয়ে সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের অপেক্ষায়। বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, একশোর মধ্যে ৫ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ডাক্তাররা। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মেয়েকে বাঁচিয়ে তোলার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
কথায় আছে দশের লাঠি একের বোঝা। মেয়ের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে তার অস্বচ্ছল বাবা মা। দেশের বিত্তবান সহৃয়বান ব্যক্তিরা তাদের পাশে দাঁড়ালে হয়তো শারমীন সুস্থ হয়ে উঠবে, আবারও কণ্ঠ ছেড়ে গান গাইবে। সবাই এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা।
শারমীন এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭ ম তলায় ১৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। শারমিনের বাবার ফোন ফোন এবং বিকাশ নম্বর 01712184886
সান নিউজ/এমকেএইচ