বিনোদন ডেস্ক: আগরতলায় গ্রেফতার হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এ অভিনেত্রীকে।
রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে তাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে আগরতলা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। এ সময় যানজটে আটকে যায় তার গাড়ি। গাড়ির পেছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ায় আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন ও ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। তৃণমূল নেতা-নেত্রীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশের অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। সেই সূত্র ধরেই রবিবার (২১ নভেম্বর) পুলিশ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয়। সায়নীসহ বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। সায়নীসহ প্রত্যেককেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতেই পূর্ব আগরতলা থানা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সে সময় তিনি যেতে চাননি। পরে রোববার সকালে থানায় গেলে তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেলে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ছিল পূর্ব আগরতলা থানা চত্বর। থানার ভেতরে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের লক্ষ্য করে সে সময় বাইরে থেকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে একদল যুবক। এতে আক্রান্ত হতে হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীকে। এমনকি আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকেও।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং সাজানো। রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামীকাল আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আছে। তা বানচাল করতেই সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পরও আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। যাতে সায়নী জামিন পেতে পারেন।
সান নিউজ/এনকে