বিনোদন ডেস্ক: মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এমন কোনো প্রমাণও মেলেনি যাতে আদালত নিশ্চিত হতে পারে যে বেআইনি কোনো কাজ করার লক্ষ্য ছিল আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার।
২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করেন মুম্বাই আদালত। তবে ২৩ দিন পর শনিবার (২০ নভেম্বর) জামিনের বিস্তারিত রায় প্রকাশ পেল।
রায়ে বলা হয়েছে, মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। একই সঙ্গে বেআইনি কোনো কাজ করার লক্ষ্য ছিল আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার-এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
এদিন আরিয়ানের মামলা প্রসঙ্গে মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, আরিয়ান ও তার সঙ্গীরা শুধুমাত্র কর্ডেলিয়া ক্রুজে ছিলেন বলেই তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত যড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা যায় না।
আরিয়ান-আরবাজ-মুনমুনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়। আর এই কারণে তিনজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) মামলার বিস্তারিত রায় প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন শুধুমাত্র সেই ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনো মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি।
আরবাজ এবং মুনমুনের কাছ থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে, যা থেকে বোঝা যাবে যে বেআইনি কাজ করতে কোনো রকম চুক্তি হয়েছে বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুনের মধ্যে কোনো বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো বিষয় মেলেনি।
আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান এবং আরবাজ।
যেহেতু ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি, তাই ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোর নিয়ম কার্যকর হবে না।
সেই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি হিসেবে যে দাবি করেছিল এনসিবি, তুফান সিং বনাম তামিলনাড়ু সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তার কোনো মূল্য নেই।
সান নিউজ/এনকে