বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। নব্বই দশক থেকে নিয়মিত কাজ করছেন। দেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। সেখানকার বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ নায়ক। এই সুবাদে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো তার।
তবে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এক নেতার জন্য প্রচারণায় অংশ নেয়ায় ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিলো ফেরদৌসের। এ কারণে দীর্ঘ আড়াই বছরেরও বেশি সময় ভারতে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।
এমনকি ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেননি ফেরদৌস। ঐতিহাসিক সিনেমাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাকে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। এছাড়া ভারতীয় কয়েকটি সিনেমা হাতছাড়া হয় তার।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস জানিয়েছেন, 'একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে আড়াই বছরের বেশি সময় ভারতে ঢুকতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে ভারতের ভিসা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই দেশে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব সময় বলতাম, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম।'
বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো বলে মনে করছেন ফেরদৌস। নিজের ভুল স্বীকার করে এই অভিনেতার ভাষ্য, 'অবশ্যই এটা আমার ভুল। আমি তো জানতাম না যে এমন কাজ করা যাবে না। আমাকে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে গেছেন, তারাও জানতেন না আমি সেখানে যেতে পারব না। এটা অবশ্যই ভুল। জীবনে একটা উচিত শিক্ষা হয়েছে।'
ফেরদৌস আরও জানিয়েছেন, দ্রুতই পরিবার নিয়ে ভারত ভ্রমণে যাচ্ছেন তিনি।
ফেরদৌস আহমেদ ব্যাপকভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ১৯৯৮ সালে ভারতীয় পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করে। এই সিনেমার জন্য প্রথমা বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এরপর থেকে কলকাতার সিনেমার নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেন তিনি।
সান নিউজ/ এমবি