বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে খুব একটা ভালো চোখে না দেখলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানে ‘খেল খেল ম্যায়’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। আগামী ১৯ নভেম্বর পাকিস্তানে মুক্তি পাবে ছবিটি। ধারণা করা হচ্ছে, বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় প্রথমবারের মতো বাঙালির সংগ্রামকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ধারার এই চলচ্চিত্রের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল আলী ও বিলাল আব্বাস খান। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা নির্মাতা নাবীল কুরেশি। আর গল্প লিখেছেন ফিজা আলি, মীর্জা ও নাবীল কুরেশি।
সিনেমাটির বেশ কিছু দৃশ্যধারণ হয়েছে ঢাকাতে। তবে বেশিরভাগই ড্রোন ব্যবহার করে। এর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর সিনেমাটির প্রথম টিজার প্রকাশ পায়। সিনেমার টিজার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে অন্যরকম একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
টিজারের ভিডিওর শুরুতেই এক বৃদ্ধের কণ্ঠে ‘অনুতাপ’ ভেসে ওঠে। তিনি বলেন, আমরা বুঝতেই পারিনি একটা স্ফুলিঙ্গ একটা জঙ্গল শেষ করে দিতে পারে। আর ভিডিওর শেষে সজল আলীর তার বন্ধুদের বলতে থাকেন, কেন আমরা প্রশ্ন করি না? কেন একটি মিথ্যাকে আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? কেউ কেন প্রশ্ন করে না, আসলেই সেই সময়ে কী হয়েছিল? নাকি আমরা সেই চালের মধ্যে ফেঁসে গেছি, যা শত্রুরা চাইতো?
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমায় দুটি প্রজন্মকে দেখানো হয়। একটি প্রজন্ম যারা বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। তবে এবার সত্য জানতে চায় জাতি।
এদিকেম যদি বাংলাদেশে বিদেশি কোনো সিনেমার শুটিং করা হয় সেক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন হয়। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের কোনো প্রযোজক যোগাযোগ করেনি। মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমাটির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা নিরীহ বাংলাদেশিদের ওপর হামলা চালায়। দীর্ঘ নয় মাস বাঙালিদের ওপর পৈচাশিক নির্যাতন চালায় পাকিন্তানি বাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ পাক বাহিনী। আর লজ্জাজনকভাবে পরাজয় বরণ করে পাকিস্তান। এরপর জন্ম লাভ করে নতুন এক বাংলাদেশ।
সান নিউজ/এমকেএইচ