বিনোদন ডেস্ক: আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আরিয়ান। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বই পড়ে সময় কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে।
জেলের গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক বই থাকে। এ ছাড়া হাজতবাসীরা আত্মীয়দের থেকে বই আনাতে পারেন। কিন্তু সেগুলো ওই নির্দিষ্ট দুটি বিষয়ের মধ্যে যে কোনো একটি হতে হবে।
হাজতে কাউন্সেলিং চলছে আরিয়ানের। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।
তিন সপ্তাহ ধরে বন্দিজীবন কাটছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের।
মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলের রুদ্ধদ্বার কক্ষই আরিয়ান খানের বর্তমান ঠিকানা। জেলের জীবনযাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না শাহরুখপুত্র।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বিশেষ কথাও বলছেন না কারও সঙ্গে। বই পড়েই সময় কাটাচ্ছেন তিনি। জেলের গ্রন্থাগার থেকে দুটি বই ধার নিয়েছেন আরিয়ান- ‘গোল্ডেন লায়ন’ নামের একটি উপন্যাস এবং রাম-সীতা সংক্রান্ত গল্পের একটি বই।
এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, সমীরকে আরিয়ান কথা দিয়েছেন— তিনি যা করেছেন, তার পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না। আরিয়ানের আশ্বাস, ভবিষ্যতে তিনি একজন সুনাগরিক হয়ে উঠবেন।
বন্দিদের কুরআন, গীতা ও বাইবেলের মতো ধর্মীয় গ্রন্থও দেওয়া হয় জেলে। সেসব বই পেয়েছেন আরিয়ানও। এর আগে জেলে বসেই বিজ্ঞানের বই চেয়েছিলেন আরিয়ান। তার দাবিমতো কয়েকটি বই এনেও দেওয়া হয়েছিল তাকে।
সান নিউজ/এনকে