বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পাল অভিযোগ করেছেন, তানজিলা জামান মিথিলা আমার মুখ বন্ধ রাখার জন্য কেস করেছে। আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে হ্যারাস করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আমিও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে একটা কেস দিয়েছি।
সম্প্রতি সান মিডিয়া প্রযোজিত ‘আড্ডা উইথ মনজু’ নামের একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শান্তা পাল আরও বলেন, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর অডিশনে যোগ্য প্রতিযোগীদের বঞ্চিত করে মিথিলাকে অন্যায়ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেয়া হয়েছে।
শান্তা পাল বলেন, অডিশনে আমাদের সিনিয়র মডেল মিথিলাকে স্পষ্ট দেখলাম, সেখানে অডিশন না দিয়েই ভেন্যু থেকে বেরিয়ে গেলেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ হওয়ার পর জানলাম, উনি সেরা ৫০-এ জায়গা করে নিয়েছেন। খবরটি শুনে আমি অবাক হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অডিশন দিতে আমরা যখন লাইনে দাঁড়ানো ছিলাম, তখন সেখানে মিথিলা ছিলেন না, পরে ফেসবুকে যখন ছবি আপলোড দেয়া হয়, কারা সিলেক্ট হয়েছে, তখন দেখি আমি নাই, কিন্তু মিথিলা আছে। হয় তো সে প্রাইভেটভাবে অডিশন দিয়েছে, যখন আশেপাশে কোনো কন্টেসট্যান্ট ছিল না।
শান্তা বলেন, কোনো কন্টেসট্যান্ট জাজদের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে না, কিন্তু ওর একটা ছবি আছে, যেটা জাজদের সামনে কেউ একটা ছবি তোলে দিয়েছে। পুরো টেকনিক্যাল টিম জড়িত। কোনো কন্টেসট্যান্ট যখন জাজদের সামনে আসে, তখন সে নার্ভাস থাকে, কিন্তু ওর জন্য সব সাজানো ছিল।
তিনি আরও বলেন, কোনো একজন মিথিলার পাসপোর্টের স্ক্যান কপি পাঠায়, সেখানে দেখলাম তার বয়স ২৮, তবে অডিশন বলা ছিল বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছরের উপরের কেউ অংশ নিতে পারবে না, কিন্তু তার বয়স ছিল ২৮ বা উনত্রিশ, তার তো সিলেকশনই হওয়ার কথা না। তাহলে এই মেয়ে কিভাবে সিলেক্ট হলো?
শান্তা বলেন, আজ যদি অন্য কারও ক্ষেত্রে এমন হতো, তাহলে কি তারা সিলেকশন হতো, সবাইকে তো সমান অধিকার দেয়া উচিত। বয়স সীমার উর্ধ্বে নিচ্ছে, তাহলে সবাইকে নেয়া হোক। তা যদি না হয়, তাহলে প্রাইমারি একটি সিলেকশন থাকে? কেন মানুষের টাইম ওয়েস্ট করবে? কেন মানুষের ড্রিম ওয়েস্ট করবে?
তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কোনো কন্টেসট্যান্ট বলতে পারবে না যে, মিথিলা অডিশন দিয়েছে। তার কোনো যোগ্যতা নাই, তার কোনো চারিত্রিক গঠনও ঠিকঠাক নাই। এর জন্য তাকে জিতলে হলে নিজের স্পনসর জোগাড় করতে হবে। তিনি ডিউক সাহেবের কাছ থেকে স্পনসর সংগ্রহ করে দিয়েছেন। শুনেছি ডিউক সাহেব মিথিলার অনেক ঘনিষ্ঠ মানুষ।
তবে মিথিলা জয়ী হওয়ার পর সময় টিভিসহ অনেকে তার বয়স নিয়ে রিপোর্ট করে। পরে মিস ইউনিভার্সের মূল আয়োজকদের কাছে মেইল করলে তারা বাংলাদেশকে ব্যান করে দেয়। যদিও মিথিলা স্ট্যাটাস দেয়, করোনার কারণে অনুষ্ঠান হচ্ছে না, কিন্তু অনুষ্ঠান হয়েছে। আর করোনা তো শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বে করোনা ছিল। ও অংশ নিতে পারবে না বলে একটা নিউজ তৈরি করে দেয়।
শান্তা বলেন, চার পাশের মানুষ জেনে গেছে, মিথিলার ক্যারেক্টার। বাংলাদেশকে ব্যান করা হয়েছে। ফাইনালি আমাদের দেশের জন্য খারাপ হলো যে, বাংলাদেশিরা ফেয়ার জাজমেন্ট করে না, এ জন্য বাংলাদেশকে ব্যান করে দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু আনেনি। ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে আমরা বাংলাদেশকে ভালভাবে রিপেজেন্ট করতে পারিনি এই বাজে ক্যারেক্টারের জন্য।
সান নিউজ/এমকেএইচ