বিনোদন ডেস্ক: জামিন মিললো না শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের। মাদক মামলায় তাকে পাঠানো হলো কারাগারে। আজ (৮ অক্টোবর) আদালতে হাজির করা হয় শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে। নিজের ভেতর জমিয়ে রাখা সব ক্ষোভ ঝেড়ে দেন আদালতে। পার্টিতে অনেক লোক থাকলেও বেছে বেছে তাদের মতো কিছু লোককে কেন গ্রেফতার করা হলো তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলেন আরিয়ান।
আরিয়ান বলেন, পার্টিতে ছিলো ১৩০০ লোক। কিন্তু গ্রেফতার করা হলো শুধু ১৭ জনকে।’ আদালতে তার দাবি, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিলো, সেখানে কোনো মাদক মেলেনি।
যদিও মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)র দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাতে লিখে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছিলেন আরিয়ান। আরিয়ানের সেই হাতে লেখা বয়ানও প্রমাণ হিসাবে আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আরিয়ানকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই শাহরুখ পক্ষের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে আরিয়ানের জন্য জামিন আবেদন করেন।
জামিনের শুনানির সময় শাহরুখপুত্র বলেন, প্রতীক নামে তার এক বন্ধু এই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে প্রমোদতরীর পার্টিতে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
আরিয়ানকে জানানো হয়েছিল, তার নাম থাকবে ‘ভিভিআইপি’ তালিকায়। শাহরুখ খানের পুত্র এলে পার্টির জাঁকজমক বেড়ে যাবে। মূলত এই কারণেই নাকি ডেকে আনা হয়েছিল আরিয়ানকে।
আরিয়ানের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল এবং প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখলেই সত্যি বেরিয়ে আসবে। আরিয়ানের সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের সঙ্গেও পরিচয় রয়েছে প্রতীকের।
আরিয়ান জানিয়েছেন, প্রমোদতরীতে ওঠার পরেই তার ব্যাগ তল্লাশি করেন এনসিবির কর্মকর্তারা। কিন্তু খোঁজাখুজির পরেও নাকি তারা শাহরুখপুত্রের কাছ থেকে কোনও মাদক পাননি।
আরিয়ান বলেছেন, ‘ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওর কার্যক্রমের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’
অন্যদিকে, এনসিবির তদন্ত বলছে, আরিয়ান এবং আরবাজ মাদক সংগ্রহ করতেন একই ব্যক্তির কাছ থেকে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে নাকি উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
এখন অপেক্ষার পালা আদালত শেষ পর্যন্ত কোন দিকে রায় জানায়। রায় শোনার জন্য মুখিয়ে আছেন শাহরুখ অনুরাগীরা।
সান নিউজ/এফএআর