বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে কিছু স্মৃতি উল্লেখ করে সংঙ্গীত শিল্পী কনকচাঁপা বলেছেন, আমি বারবার শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এতো সুন্দর যে বেশিক্ষণ তাকানো যায় না! চলা-বলায় এতো ভোলাভালা যে আমি বারবার ভাবছিলাম একটা মানুষ এতো নিখুঁত অভিনয় কিভাবে করে! কিভাবে পারে!
সম্প্রতি শাবনূরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন কনকচাঁপা।
কনকচাঁপা লিখেছেন, দু’জনকে বলা যায় দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাকের পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি। আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনি গেয়েছেন। তাই তার সিনেমার গানে কনকচাঁপার কণ্ঠ আবশ্যম্ভাবী। অনেকেই এই ঠোঁট মিলে যাওয়া বা আবেগ মিলে যাওয়া অথবা বলা যায় একাত্ম হয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আমাকে দিতে চান। আমি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করি। কারণ আরও নায়িকার ঠোঁটে আমি গেয়েছি। কিন্তু এমন একাত্ম হওয়া যায়নি হয়তো। সেক্ষেত্রে আমি শাবনূরের অত্যাশ্চর্য অভিনয়কেই বেশি মূল্যায়ন করি। তিনি অনেক উঁচুদরের অভিনয়শিল্পী। এসব কথা বা ব্যখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা সিনেমা দেখতেন, বা ভক্ত ছিলেন তারা সবাই হয়তো জানেন।
তিনি আরও বলেন, একটি কথা একদম অজানা যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে। প্লেব্যাকের প্রথম দিকে দুজন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠানে মিতবাক শাবনূরের সাথে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দুয়েকটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।
কনকচাঁপা আরও লেখেন, মাশুকের বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে গেলাম তার বাসায়। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে উচ্ছ্বাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেল। আমার বাসা ওর বাসার কাছে শুনে বললো ‘ও আল্লাহ! তাইলে তো আপনার নিঃশ্বাস ও আমি পাই’। দুপুর বেলা গড়িয়ে গেলেও সে কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলো না। নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের করা রান্না আমাদের খাওয়ালো। সত্যিই আমরা গর্বিত হতে পারি যে, আমাদের একজন শাবনূর আছেন, যার নামের আগে-পিছে কোন বিশেষণ লাগে না।
সান নিউজ/এমকেএইচ