বিনোদন ডেস্ক: কালজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক খান আতার বিখ্যাত ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ ছবির সুবাদে ‘মুকুটহীন সম্রাট’ খ্যাতিপ্রাপ্ত নায়ক আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। ২০১৩ সালের এদিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। একই দিন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মায়ের কবরেই চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
অবিস্মরণীয় এ অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালে জামালপুরের সরুলিয়া গ্রামে। তার বাবা নাজির হোসেন ছিলেন সহকারী নিবন্ধন কর্মকর্তা। ১৯৫১ সালে জামালপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন আনোয়ার হোসেন। পরে আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হয়ে মঞ্চ নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ময়মনসিংহ ছেড়ে একসময় ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা বেতারের নাটকে প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৫৭ সালে। নাটকটির নাম ছিল ‘নওফেল হাতেম’।
আনোয়ার হোসেন অভিনীত প্রথম ছবি ‘তোমার আমার’। মহিউদ্দিন পরিচালিত এ ছবিতে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৬২ সালে মুক্তি পায় অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘সূর্যস্নান’, এখানে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর অভিনয় করেন ‘জোয়ার এলো’ (১৯৬২), ‘কাচের দেয়াল’ (১৯৬৩), ‘নাচঘর’ (১৯৬৩), ‘দুই দিগন্ত (১৯৪৬), ‘বন্ধন’ (১৯৬৪), ‘একালের রূপকথা’ (১৯৬৫) প্রভৃতি ছবিতে।
১৯৬৫ সালে উর্দু ছবি ‘সাতরং’-এ ট্রাক ড্রাইভার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। এরপর উর্দু ছবি ‘উজালা’য় সুলতানা জামানের বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। ‘উজালা’ মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। পরের বছর বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ ছবিতে কাজ করার পর আনোয়ার হোসেনকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আনোয়ার হোসেন অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে ১৯৭৫ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবির জন্য সহ-অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পান ১৯৭৮ সালে। এরও আগে ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’য় অভিনয় করে নিগার পুরস্কার পেয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই ১৯৮৮ সালে প্রথম একুশে পদক পান।
সান নিউজ/এমকেএইচ